, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

Avatar rtm

রোববার সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট

প্রকাশ: ২০১৮-১০-২৭ ১৬:২৭:৩৫ || আপডেট: ২০১৮-১০-২৭ ১৬:৪৭:১০

Spread the love

রোববার সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটআরটিএমনিউজ২৪ডটকম: আট দফা দাবিসহ সংসদে পাসকৃত ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর ধারা সংশোধনের দাবিতে আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

শনিবার বিকেলে সংগঠনটির সভাপতি সংসদ সদস্য ওয়াজিউদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চলা শ্রমিক সমাবেশ থেকেও এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে যুগোপযোগী আধুনিক ও উন্নত সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের দাবি করে আসছে। আমাদের দাবিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকার আইন পাস করলেও অনেকগুলো ধারা শ্রমিক স্বার্থের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। যে কারণে পরিবহন শ্রমিকদের চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আইনে সড়ক দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য না করে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। আমরা জানি দুর্ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটে না কিন্তু অপরাধ পরিকল্পিতভাবেই ঘটে। দুর্ঘটনা মামলায় তদন্ত করে অপরাধী হিসেবে বিচারে ৩০২ ধারায় শ্রমিকদের ফাঁসি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এমনিতেই প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় গাড়ি চালায়, তার ওপর আবার বিচারে মৃত্যুর ঝুঁকি। এ কারণে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পেশা ছেড়ে দেবার চিন্তা শুরু করে দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সড়ক পরিবহন জনগুরুত্বপূর্ণ সেবা খাত। সড়ক পরিবহন এর প্রধান চালিকা শক্তি শ্রমিক। এই শ্রমিকদের সমাজ ও জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে আইনের এই ধারাগুলো বিশেষ মহলকে খুশি করতে পারলেও জাতীয় জীবনে চরম বিপর্যয়ের সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। যা আমাদের কাম্য নয়।

এ অবস্থায় এই আইনের সংশোধন করা ও বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আমরা ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেছি। এবং একই লক্ষ্যে আগামীকাল ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা শুরু হবে।

আট দফা দাবিগুলো হলো-সড়ক দুর্ঘটনায় সকল মামলা জামিনযোগ্য করতে হবে। শ্রমিকদের অর্থদণ্ড ৫ লাখ টাকা করা যাবে না। সড়ক দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করতে হবে। ওয়েস্কেলে জরিমানা কমানো ও শাস্তি বাতিল করতে হবে। সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এর সময় শ্রমিকদের নিয়োগপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত স্বাক্ষর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। সকল জেলায় শ্রমিকদের ব্যাপক হারে প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করতে হবে। লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।

গত ৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ সাত দফা দাবিতে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছিল ট্রাক পরিবহন শ্রমিকরা।

Logo-orginal