, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

১৯৬৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইউতে তুরস্কের সদস্যপদ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছেঃ এরদোগান

প্রকাশ: ২০১৮-১০-১২ ০০:২১:১২ || আপডেট: ২০১৮-১০-১২ ০০:২১:১২

Spread the love

১৯৬৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইউতে তুরস্কের সদস্যপদ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছেঃ এরদোগানছিদ্র করে নৌকা ডুবিয়ে শরণার্থী হত্যার ভিডিও রয়েছে : এরদোগান
ভূমধ্যসাগর ও এজিয়ান সাগরে নৌকা ছিদ্র করে শরণার্থী হত্যার ভিডিও ফুটেজ আছে বলে দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।

এরদোগান বলেন- ‘সিরিয়ার শরণার্থী সংকট মোকাবেলা ও একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার করার জন্য আমরা একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম যাতে করে সিরিয়ার মিলিয়নেরও বেশী নাগরিকের জীবন রক্ষা পায়। তবে আমাদের কিছু মিত্র ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের দেয়া প্রস্তাবটিকে এড়িয়েছে এবং অন্তর্ঘাত করে চলছে।’

হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপোস্টে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,‘আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রথমত সিরিয়ার জনগণ এবং এর পরে তুরস্কের মত পার্শ্ববর্তী দেশসমূহকে সিরিয়ায় আসন্ন যে কোনো ধরণের বিপর্যয়ের জন্য ব্যাপক মূল্য দিতে হতে পারে।’

এরদোগান তুরস্ককে ইউরোপের সাথে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আরো আন্তরিক হওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘তুরস্কের সদস্য পদ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।’

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেন, ‘হাঙ্গেরি তুরস্কের সদস্য পদ লাভের বিষয়টিতে সব সময়ই সমর্থন দিয়ে আসছে। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কী চাই। তুরস্কের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের পন্থা খুঁজতে হবে। এখন আমরা যা করছি তা ন্যায় সঙ্গত নয়।’

এরদোগান তুরস্কের সদস্যপদ লাভের জন্য হাঙ্গেরির সমর্থকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সমর্থন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘১৯৬৩ সালে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে আর এখন চলছে ২০১৮ সাল। সদস্যপদ প্রত্যাশী আর কোন দেশের বিষয়ে এমনটা হয়নি।’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন,‘‘ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ লাভের বিষয়টিতে আর অপেক্ষা করতে চান না। ইউরোপকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা তুরস্ককে নেবে কি না।’’

গত এক দশকে তুরস্কের সাথে ইউরোপের সাথে সম্পর্কের অনেক অবনতি হয়েছে। ইইউ বারবারই তুরস্কের সদস্যপদ লাভের বিষয়টি পিছিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য কূটনৈতিক বিষয় নিয়েও চলছে টানাপোড়েন। বিশেষ করে রাশিয়ার সাথে তুরস্কের সম্পর্ক বৃদ্ধির পর থেকেই ক্ষুব্ধ ইউরোপ।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন- উভয় পক্ষই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছে। তুর্কি ও ইইউ কর্মকর্তাদের অনেকে ইতিবাচক বক্তৃতা দিচ্ছেন দুই পক্ষের সম্পর্কের বিষয়ে। উৎসঃ এরাবিয়ান জার্নাল।

Logo-orginal