, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin admin

রাবিতে চার শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

প্রকাশ: ২০১৮-১০-১৯ ১৩:২১:১০ || আপডেট: ২০১৮-১০-১৯ ১৩:২১:১০

Spread the love

রাবিতে চার শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রলীগরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

পরে তাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একটি কক্ষে আটকে রেখে ঘণ্টাব্যাপী মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওই চার শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে লিটন নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এক্সরে রিপোর্টে দেখা যায়, ব্যাপক মারধরে লিটনের বাম পায়ের গোড়ালির দিকে ভেঙ্গে গেছে। এদিকে, আটককৃতরা ছাত্রলীগের কাছে থাকাবস্থায় ক্যাম্পাসে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আটককৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লিটন, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মুহাইমিন, সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নাসিম হাসান ও আরবী বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরুখ।

তবে মারধরের পর পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় লিটন ও মুহাইমিনের সঙ্গে কথা বললে তারা শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে বিকেলে ঘুরতে এসেছিলাম। এ সময় সন্দেহবশত আমাদের আটক করা হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনা কারণে আমাদের খুব মারধর করেছে। আমরা কোন ধরনের শিবির করি না।’

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী দল বেধে মন্নুজান হলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ১৪জন শিক্ষার্থীকে আটক করে বঙ্গবন্ধু হলে নিয়ে যায়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রেখে মারধর ও জিজ্ঞাসাবাদের পর চারজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। প্রমাণ না পাওয়ায় বাকি ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে ছাত্রলীগ জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা ক্যাম্পাসকে অস্তিতিশীল করার জন্য পশ্চিম পাড়ায় শোডাউন দিচ্ছে এমন একটি ফোন পেয়ে আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার সাথে সাথে তাদের কয়েকজন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে আমরা তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। এসময় চারজন শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।’

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আশরাফ উজ জামান বলেন, বহিরাগতদের আটক করে হলে নিয়ে এসে মারধর করা আমার পছন্দ নয় হয়নি। আমি এসেই তাদের বের করে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু হলে শিক্ষার্থীদের বারবার শিবির সন্দেহে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, বিষয়টি সরকারের।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ১৪জনকে আটক করেছিলো। তাদের মধ্যে চারজনকে পুলিশে দেওয়া পর বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চারজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তাদেরকে এখন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো। উৎসঃ ইনকিলাব ।

Logo-orginal