admin
প্রকাশ: ২০১৮-১১-০৮ ১৯:১৩:৫৪ || আপডেট: ২০১৮-১১-০৮ ১৯:১৩:৫৪
চট্টগ্রাম: সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
তবে কোনাঠাসায় বিএনপি-জামায়াত, সমানে চলছে ধরপাকড়, পিছু ছাড়ছেনা পুলিশি মামলা, তারপরও থেমে নাই তাদের তৎপরতা।
কিন্তু বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। দলের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা হারিয়েছে দলটি। তাই দলটি স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত।
জানা যায়, চট্টগ্রামেরর বেশকটি সংসদীয় আসন নিয়ে আশাবাদী দলটি, যদিও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহে আছে জামায়াত প্রার্থীরা।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম নিয়ে বরাবরের মত জামায়াত এবারও বেশকটি আসন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী।
আসনগুলো হলো- হালিশহর-ডবলমুরিং (চট্টগ্রাম-১০), সাতকানিয়া-লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম-১৫), বাঁশখালী (চট্টগ্রাম-১৬), কক্সবাজার সদর (কক্সবাজার-৩) মহেশখালী-কুতুবদিয়া (কক্সবাজার-২) ও (কক্সবাজার ৪)।
জামায়াতের সংসদীয় বোর্ড এসব আসনে প্রার্থীও নির্ধারণ করে রেখেছে। ঘরোয়া পরিবেশে তৎপরতা চালাচ্ছে প্রার্থীরা।
এইসব আসনে জামায়াতের প্রার্থীরা হল: চট্টগ্রাম-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম, কক্সবাজার-৩ আসনে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ, কক্সবাজার-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, এবং কক্সবাজার-৪ আসনে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী।
বর্তমানে জামায়াতের হেভিওয়েট তিন প্রার্থী আ ন ম শামসুল ইসলাম, হামিদুর রহমান আজাদ ও শাহজাহান চৌধুরী কারাগারে আছেন।
তবে নির্বাচনের আগে তারা জামিন না পেলে কারাগার থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আছে দলটির।