admin
প্রকাশ: ২০১৮-১১-০৯ ০০:২৬:১০ || আপডেট: ২০১৮-১১-০৯ ০০:২৬:১০
বাংলাদেশ থেকে যেবস রোহিঙ্গা ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আবর আটক হয়েছে তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতল চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফিরতে বাধ্য করছে। পাশি ‘স্বেচ্ছায় ফিরতে সম্মত’ এমন একটি নথিতে তাদের স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হচ্ছে। স্বাক্ষর আদায় করতে গিয়ে শারীরিক নিপীড়ন চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে রোহিঙ্গারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘ফরমগুলো আগে থেকেই পূরণ করে রেখেছে বাংলাদেশি দূতাবাস ও সৌদি অভিবাসন পুলিশ। তাদের শুধু আমাদের আঙুলের ছাপ নিয়েছে এবং আমাদের ঘুষিও মেরেছে।’ ওই রোহিঙ্গা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গেলে আমাদের আশ্রয় শিবিরে থাকতে হবে। সেখানে আমাদের কি ভবিষ্যত আছে?
মিডল ইস্ট জানায়, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল থেকে ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব পাড়ি জমাচ্ছে। সৌদি আরবে প্রবেশের পরই বিদেশি পাসপোর্টধারী সবাইকে সৌদি অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে আঙুলের ছাপ দিতে হয়। ২০১০ সালে এই ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। এতে করে ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ধরা পড়ছে।
মিডল ইস্ট আই’র দীর্ঘ চার মাসের অনুসন্ধানে জানা যায়, কোনও অভিযোগ ছাড়াই সৌদি আরবে বেশ কয়েক বছর ধরে আটক রাখা হয়েছে কয়েকশ রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুদের।
মিডল ইস্ট মনিটরের দাবি, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি সরকার। তাদের দাবি, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সৌদি আরব সফর করার পরপরই তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা সৌদি আরবের এই কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে অবগত। তবে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়েছে মিডল ইস্ট আই।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো সৌদি আরবের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলছে, শুধুমাত্র বাংলাদেশই রোহিঙ্গাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা অধিকারকর্মী নায় সান লুইন বলেন, সৌদি সরকারের উচিত তাদের জোর করে না পাঠিয়ে তাদের নিয়ে কাজ করা। তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত এবং দশম শ্রেণী পাশ।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক অ্যাডাম কুগল বলেন, ‘সৌদি আরবে আটককৃত রোহিঙ্গারা একটি ফাঁদে আটক পড়ে গেছে। হয় তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক থাকতে হবে নয়তো তৃতীয় একটি দেশে যেতে হবে যেখানে তাদের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বসবাস করতে হবে। অ্যাডাম মনে করেন, সৌদি আরবের এমন পদক্ষেপ বন্ধ করে তাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত।উৎসঃ এরাবিয়ান জার্নাল।