, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আনোয়ারায় পুলিশের সোর্স চাঁদাবাজ মুন্না আটক, এলাকায় স্বস্থি

প্রকাশ: ২০১৮-১১-১৭ ০৯:১৪:৩৩ || আপডেট: ২০১৮-১১-১৭ ০৯:১৪:৩৩

Spread the love

আনোয়ারায় পুলিশের সোর্স চাঁদাবাজ মুন্না আটক, এলাকায় স্বস্থি
চট্টগ্রামঃ পটিয়া-আনোয়ারা বাঁশখালী সড়কের চাতরী চৌমুহনী বাজার, কালাবিবি দীঘি ও শোলকাটাসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সোর্স সেজে সিএনজি অটো রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজি ঘটনার মূলহোতা হিসেবে পরিচিত শওকত হোসেন মুন্নাকে (৩০) অবশেষে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। খবর দৈনিক আজাদীর ।

তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সিএনজি চালক ফরিদ বাদী হয়ে থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন।

আনোয়ারা থানা, স্থানীয় ও বিভিন্ন গাড়ি চালকদের অভিযোগে জানা যায়, মুন্নার বিরুদ্ধে পিএবি সড়কের চাতরী চৌমুহনী বাজার, কালাবিবি দীঘি, শোলকাটা, মাজার গেট, বৈরাগ, সেন্টারসহ বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশের সাথে মিলে সোর্স সেজে চালকদের মারধর ও চাঁদাবাজি করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পুলিশ এতদিন সাহস পায়নি। যার কারণে গত ২ বছরেরও অধিক সময় ধরে আনোয়ারার বিভিন্ন সড়কে চলাচলরত কয়েক হাজার সিএনজি চালককের কাছে আতংকে পরিণত হয় মুন্না। তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এতদিন টোকেন বাণিজ্য চলছিল। চালকরা মাসিক এ টোকেন নিতে বাধ্য ছিল। কিন্তু গত বুধবার চাতরী চৌমুহনী বাজারে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনার পর মুন্না এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর তার বিরুদ্ধে স্থানীয় শোলকাটা গ্রামের সিএনজি চালক মোহাম্মদ ফরিদ আনোয়ারা থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মামলা রেকর্ড করে এবং বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ জানান, আনোয়ারা থানা পুলিশ কখনো চালকদের ওপর অন্যায় অবিচার করেনি। ট্রাফিক পুলিশ আলাদা বিভাগ তাদের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আগেও অবহিত করা হয়েছিল। এখন থেকে রাস্তায় ট্রাফিক ছাড়া কোন সোর্স থাকবে না। মুন্নার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় গাড়ি চালক ফরিদ চাঁদাবাজির অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার বেলা ১১ টায় চাতরী চৌমুহনী বাজারে কাভার্ড ভ্যান চালক মোহাম্মদ রুবেলকে ট্রাফিক পুলিশ ও সোর্সের মারধরের ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা ট্রাফিক বঙ ভাঙচুর ও পুলিশের মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। সেসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় এজাহার নামীয় ৯ জনসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। তারমধ্যে মোরশেদ নামে এক আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপরদিকে চাঁদাবাজি ও চালককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Logo-orginal