, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

দ্ররিদ্র মেয়ে বাবার ভুমিকায় ফেনীর পুলিশ সুপার” প্রসংশিত দেশ জুড়ে

প্রকাশ: ২০১৮-১১-১৬ ১৬:৩৪:১২ || আপডেট: ২০১৮-১১-১৬ ১৬:৩৪:১২

Spread the love
দ্ররিদ্র মেয়ে বাবার ভুমিকায় ফেনীর পুলিশ সুপার" প্রসংশিত দেশ জুড়ে
ছবি, সংগৃহীত।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের রিকশাচালক আবুল কালামের মেয়ে জাহেদা বেগমের বিয়ে ঠিক হলে গত ১৪ নভেম্বর নিজের কিছু গচ্ছিত টাকাসহ মানুষের কাছে হাত পেতে সংগ্রহ করা ১০ হাজার টাকা নিয়ে সোনাগাজী উপজেলায় বিয়ের বাজার করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন সেই টাকাগুলো।

মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায় দরিদ্র পিতার মেয়ের বিয়ের লালিত স্বপ্ন। তাই সোনাগাজী বাজারে প্রকাশ্যে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিষয়টি সাধারণ মানুষের চোখে পড়লে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় রিকশাচালক বাবা-মায়ের আর্তনাদের সেই দৃশ্য।বিষয়টি ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নজরে এলে তিনি বিয়ের দায়িত্ব নেন।

পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার জাহেদার গ্রামের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সকাল থেকে উপস্থিত হয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে এসপি বাবার ভূমিকা পালন করে জামাতার হাতে মেয়েকে তুলে দেন এবং তাদের জন্য দোয়া করেন। এসপির এমন ভূমিকায় ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ বলে প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন ওই এলাকার সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে। শুধু এতেই শেষ নয়, এসপি বাবা হয়ে মেয়ের গলায় জড়িয়ে দিলেন আট আনা ওজনের সোনার গয়না। সোনাগাজী উপকূলীয় অঞ্চলের রীতি অনুযায়ী সঙ্গে দিলেন লেপ-তোষক, হাঁড়ি-পাতিল নতুন বউয়ের সঙ্গে যাওয়া যাবতীয় জিনিসপত্র।

এসপির আগমনের সংবাদে ছুটে যাওয়া স্থানীয় ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান নতুন বরকে একটি অটোরিকশা উপহার দেন। এ রকম একটি দৃশ্যের অবতারণা দেখতে ওই গ্রামে ভিড় জমে হাজারো মানুষের। না খেতে পারলেও মিষ্টি মুখে ফিরেছেন সকলেই।

এ বিষয়ে রিকশাচালক আবুল কালাম জানান, এটি আমার জীবনের সেরা ঘটনা। জীবনের কোনো ভালো কাজের প্রতিদান স্বরুপ এটি পেয়েছি। এসপি আমার মতো রিকাশাচালকের মেয়ের বিয়েতে এসে আমাকে সম্মানিত করেছেন। আমার মেয়ে এখন রিকশাচালকের মেয়ে না, একজন এসপির মেয়ে। মেয়ের জামাতা পেল পুলিশ সুপার শ্বশুর।

বর বলেন, ‘আমার বিয়েতে এসপি স্যার আসায়, আমি খুব খুশি হয়েছি। আমি আগামী সকল কর্মকাণ্ডে এসপি স্যারের সুনাম রক্ষা করব।’

এসপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে। গরিব এবং ছোট্ট একটা দুর্ঘটনায় একটা বিয়ে ভেঙে যেতে পারে না। অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আজ একটি ভিন্ন স্বাদ পেয়েছি। বাবা হয়ে মেয়ের বিয়ের আনুষ্ঠানিতা করতে পারা এটি আসলে গৌরবের বিষয়।’

Logo-orginal