admin

ফিলিস্তিন – ইসরাইল যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে!

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা গতরাতে ৫০টির বেশি অবৈধ ইহুদি বসতি এবং ইসরাইলি সেনা অবস্থান লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। সম্প্রতি ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে ফিলিস্তিনিরা ওই হামলা চালিয়েছে।

কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ৪০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সমগ্র ইসরাইলে সাইরেন বেজে ওঠে এবং ইসরাইলিদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনগুলো এর আগে জানিয়েছিল, তারা ইসরাইলি আগ্রাসন ও হত্যাকাণ্ডের কঠোর জবাব দেবে। ফিলিস্তিনের বর্তমান অবস্থা থেকে বোঝা যায়, তারা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দেয়ার ক্ষমতা রাখে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ নামক পরিকল্পনার আওতায় ফিলিস্তিনিদের অধিকার পুরোপুরি পদদলিত ও তাদের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা এবং বায়তুল মোকাদ্দাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল ও আমেরিকার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নতুন করে ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে।

এ অবস্থায় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা অধিকৃত ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরেছে। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে ফিলিস্তিনিরা ‘গোলার জবাবে গোলা’ নীতি গ্রহণ করেছে।

প্রকৃতপক্ষে, দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে বিশেষ করে ইরাক ও সিরিয়ায় চরমভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর এখন নিজের পরাজয় আড়াল করা ও শক্তিমত্বা দেখানোর জন্য গাজায় ব্যাপক আগ্রাসন ও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে। ফলে ফিলিস্তিনিরাও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হচ্ছে এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে বলে তারা প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

বর্তমানে দখলদার ইসরাইল, সৌদি আরব ও আমেরিকা ফিলিস্তিনিদের অধিকার পদদলিত করে ইসরাইলের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আরো বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে এবং সমন্বিতভাবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নতুন করে আগ্রাসন শুরু করেছে।

ইসরাইলের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই সৌদি আরবসহ রাজতন্ত্র শাসিত আরো কয়েকটি আরব দেশ এখন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং এর পেছনে আমেরিকার সমর্থন রয়েছে। কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শত্রুদের সব হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়েছে।