, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin admin

মা ও প্রতিবন্ধী সন্তান হৃদয়ের জীবন বদলে দিয়েছে যে ফটোগ্রাফারঃ বিবিসি (ভিডিও)

প্রকাশ: ২০১৮-১১-২৯ ২৩:৩৬:১১ || আপডেট: ২০১৮-১১-২৯ ২৩:৩৭:৫০

Spread the love

মা ও প্রতিবন্ধী সন্তান হৃদয়ের জীবন বদলে দিয়েছে যে ফটোগ্রাফারঃ বিবিসি (ভিডিও)
ছবি, বিবিসি।

বিবিসিঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে আজকাল অনেক কিছুই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হয় অনেক ছবিই। একজন মায়ের তরুণ সন্তানকে কোলে নিয়ে হেঁটে যাওয়ার ছবিটিও সামাজিক মাধ্যম থেকেই নজরে পড়ে বিবিসির। তারপর থেকে ওই সন্তান হৃদয় সরকারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং মা সীমা সরকারের নাম বিবিসি ১০০ নারীর তালিকায় আসার গল্পটা অনেকেরই জানা।

তবে এ ছবির পেছনের কারিগরকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত বিবিসির উদ্যোগেই ছবির আলোকচিত্রী আল মামুনের সাথে সাক্ষাৎ হল মা সীমা সরকার ও তার সন্তান হৃদয় সরকারের।

নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে পেরে স্বস্তির হাসি সীমা সরকারের মুখে। হৃদয় সরকার পেয়েছেন তাঁর পছন্দের বিষয়- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।

কলা ভবনে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বসে তাদের সেই সংগ্রাম এবং তারপর তাদের স্বপ্ন পূরণের কথাই জানাচ্ছিলেন তারা বিবিসির ফেসবুক লাইভে এসে।

BBC News বাংলা এর ফেসবুক পোস্ট স্কিপ করুনBBC News বাংলা এর ফেসবুক পোস্ট এর শেষ
এর আগে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ওই ছবিটি যিনি তুলেছেন সেই এম এ আল মামুনকে খুঁজে বের করে বিবিসি।

ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের একপর্যায়ে তাঁকেও হাজির করা হয় সেখানে। পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় সীমা সরকার ও হৃদয় সরকারের সাথে। তাদের মধ্যে এই প্রথম দেখা হলো।

এ সময় মা-ছেলে দুজনের চোখেমুখেই কৃতজ্ঞতা ফুটে উঠছিল আল মামুনের প্রতি। কারণ – ঐ একটি ছবিই যে বদলে দিয়েছে তাঁদের জীবন!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানে ৪র্থ বর্ষে পড়ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের আল মামুন। ছবিটি তিনি তোলেন তাঁর নিজের আবাসিক হল বিজয় একাত্তরে।

সন্তানকে কোলে নেয়া সীমা সরকারের ভাইরাল হওয়া সেই ছবি

“আমার কাজিনও ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিল। ওর সাথে কথা বলতে বলতেই হঠাৎ চোখে পড়ে হৃদয়কে কোলে নিচ্ছে তার মা। আমার কাছে অবাক লাগে। আমি কিন্তু ছবিতে এটিই দেখাতে চেয়েছি যে সামনে একজন হেঁটে যাচ্ছে যে হাঁটতে পারে, আর আরেকজন হাঁটতে পারে না”- এভাবেই ছবিটি তোলার পেছনের গল্প বলছিলেন মামুন।

সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি পোস্ট করার পরই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রচুর লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট পড়তে থাকে। তার পরের গল্প বলছিলেন হৃদয়।

“আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করে জানায় যে আমার ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। এরপর আমি অনলাইনে খুঁজতে থাকি এ ছবিটি কে তুলেছে। সাতদিন পর অবশেষে ফেসবুকে তার সাথে আমার যোগাযোগ হয়। এরপর ফোনে কথা ও আজ তো সামনা সামনিই দেখা হল।”

হৃদয়ের জন্য মামুনের শুভকামনা
হৃদয়ের জন্য মামুনের শুভকামনা

বিবিসি বাংলার সাথে প্রথমবারের মতো ফেসবুক লাইভে মা সীমা সরকার। তাঁর সন্তান হৃদয় সরকারকে কোলে নিয়ে যাওয়ার যে ছবিটি ভাইরাল হয় সেটার ফটোগ্রাফার আল মামুনও আছেন। প্রমবারের মতো তাঁদের সাক্ষাৎ বিবিসি বাংলার মাধ্যমেই। আপনাদের যেকোন মতামত বা প্রশ্ন থাকলে নিচে মন্তব্য করতে ভুলবেন না। বিবিসি বাংলার সাথেই থাকুন।

Posted by BBC News বাংলা on Thursday, 29 November 2018

Logo-orginal