admin
প্রকাশ: ২০১৮-১১-০৫ ২১:০৬:২৭ || আপডেট: ২০১৮-১১-০৫ ২১:০৬:২৭
শোকরানা মাহফিলের মোড়কে ৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড অস্বীকারের আয়োজন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে জানতে পেরেছি সোহরাওয়ার্দীতে অনুষ্ঠিত শোকরিয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জয়নাল আবেদীন ‘শাপলা চত্বরে কেউ নিহত হয়নি, এটা মিথ্যা প্রচারণা’ এমন বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার, নির্লজ্জতা ও সীমাহীন ঔদ্ধত্বপূর্ণ।’
বাবুনগরী বলেন, ‘শাপলা চত্বরে কেউ নিহত হয়নি’ মর্মে তার দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের আলেম সমাজ ও তাওহিদি জনতা চরমভাবে ক্ষুব্ধ, ব্যথিত ও মর্মাহত।
বাবুনগরী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ বোর্ড আল হাইয়াতুল উলইয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘শোকরানা মাহফিল’ এ প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ‘২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে কেউ নিহত হয়নি’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, হেফাজতের পক্ষ থেকে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, আমি স্বয়ং সেই রাতে ব্যাপক নিগ্রহের শিকার হই এবং পরের দিন সকালে আমিসহ অনেকেই গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হন আরও অনেক আলেম, মাদ্রাসাছাত্র ও সাধারণ মানুষ। ওইদিন শাপলা চত্বরে অবস্থানরত লাখ লাখ তাওহিদি জনতা, দেশি-বিদেশি মিডিয়াকর্মী ও ঢাকাবাসী এ হামলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব মিডিয়ার বদৌলতে ২০১৩ সালের ৫ মে সন্ধ্যায় ও রাতে সরকারের প্রশাসন কর্তৃক শাপলা চত্বরে মহান আল্লাহ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের শাস্তির দাবিতে অবস্থানরত শান্তিপ্রিয় আলেম সমাজ ও তাওহিদি জনতার ওপর নির্মম ও নিষ্ঠুর হামলা সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে। যাতে অনেক মুসলমান শাহাদাতবরণ করেন এবং হাজার হাজার নবীপ্রেমিক জনতা আহত হন, পঙ্গুত্ববরণ করেন বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ পাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানাতে রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শোকরানা মাহফিল’র আয়োজন করে আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতুল কওমিয়া বাংলাদেশ।
ওই দিন সকাল পৌনে ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শোকরানা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সমাবেশের সভাপতি হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।