, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সুশীল বাবুরা যারা এক জায়গায় হয়ে গিয়েছেন” তাদের নীতিটা কোথায় গেলঃ শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ২০১৮-১১-২৮ ০০:২৮:৪৩ || আপডেট: ২০১৮-১১-২৮ ০০:২৮:৪৩

Spread the love

সুশীল বাবুরা যারা এক জায়গায় হয়ে গিয়েছেন" তাদের নীতিটা কোথায় গেলঃ শেখ হাসিনা
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং সুশীল সমাজের কিছু সদস্য সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নেতৃত্বের অধীনে চলে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে গণভবনে দেড় শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে একাত্মতা প্রকাশের অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেছেন, “ড. কামাল হোসেনসহ যেসব সুশীল বাবুরা যারা এক জায়গায় হয়ে গিয়েছেন, অনেক নীতির কথা বলেন, এখন তাদের নীতিটা কোথায় গেল? কার অধীনে তারা নমিনেশন নিচ্ছেন? কার থেকে নিচ্ছেন…যে গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তাদের থেকে নমিনেশন নিয়ে তারা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে?”

‘যারা আইনই মানেনি তারা নাকি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “তারাই নাকি জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস দূর করবে এবং দেশের উন্নতি নাকি করবে। যারা দেশ ধ্বংস করে দিয়ে গেছে তাদের দিয়ে কী উন্নতি হবে, আমি ঠিক জানি না।”

শেখ হাসিনা বলেন, “পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু তারপরও আমাকে যারা দুর্নীতিবাজ বলে বক্তৃতা দিয়েছেন তাদের অবস্থানটা আজ কোথায়? সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, কত নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে সব গেছে এমন এক জায়গায়…বলে গণতন্ত্র নাকি রক্ষা করতে হবে।”

তিনি প্রশ্ন রাখেন: “গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? তারা গণতন্ত্রের অভাবটা দূর করতে কাদের কাছে গেল?”

সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাগণ ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান
সম্প্রতি বিএনপি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন। নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহসহ কথিত সুশীল সমাজের আরও অনেকে রয়েছেন তাদের এই দলে।

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের সাথে হাত মিলিয়ে তারা দুর্নীতি দূর করবেন, তারা সন্ত্রাস দূর করবেন, দেশের মানুষের জন্য একেবারে ক্ষীরের পাহাড় আর দুধের নহর বইয়ে দেবেন এমন একটা ভাবসাব তাদের। তারা এখানে কোন উন্নয়নটা করতে পারবেন আর কোন গণতন্ত্রটা করতে পারবেন, সেটা আমার প্রশ্ন। যারা সাজাপ্রাপ্ত, প্রমাণিত, বিদেশ থেকে এসে সাক্ষ্য দিতে চাইছে তাহলে আর বাকি থাকেটা কী। তাহলে দেশটাকে কোথায় তারা নিতে চায়?”

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “যে দলটার গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় আছে কেউ যদি দুর্নীতির কারণে কোন ক্রিমিনাল অফেন্স করে আর সজাপ্রাপ্ত হয় তাহলে সে ওই দলের সদস্যও হতে পারবে না। সেই রকম যারা একেবারে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের জন্য সাজাপ্রাপ্ত, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার কারণে সাজাপ্রাপ্ত, সেই সাজাপ্রাপ্তের নেতৃত্বে চলে গিয়েছেন আমাদের এই সুশীল বাবুরা। এই হচ্ছে বাংলাদেশের এক দুর্ভাগ্য। তাহলে আমার প্রশ্ন, গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটা কী? তারা কোন গণতন্ত্র দিতে চায়, তার সংজ্ঞাটা কী? সেই সংজ্ঞাটা তো তারা বলতে পারছেন না। সেটা তো জনগণের গণতন্ত্র না।”

সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাগণ ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান
শেখ হাসিনা বলেন, “যারা মানুষকে হত্যা করেছে, দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে যারা তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে তাদের সাথে হাত মিলিয়ে তারা কোন গণতন্ত্র চায়? সেটা আমার একটা প্রশ্ন তাদের কাছে?”

তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলা আমি তো করিনি। রাজনৈতিকভাবে কাউকে আমি কখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে চাইনি। আমি সব শক্তি দেশের উন্নয়নে লাগিয়েছি। অন্য কোনো কাজে লাগাইনি। কারণ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কিছু করতে চেয়ে আমরা এনার্জি নষ্ট করতে চাই না। আমি ভেবেছি, আমার যা আছে, দেশের উন্নয়নে কাজ করব।”

উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা বলেছেন, সবাই মিলে নির্বাচনে কাজ করবেন। নৌকার মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। নৌকায় ভোট দিয়েই আজকে দেশের উন্নতি।”

সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে গণভবনে এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মো. ফারুক খান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন।# পার্সটুডে।

Logo-orginal