, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

গণ গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ঐক্যফ্রন্টের

প্রকাশ: ২০১৮-১২-০১ ২০:৫৬:৫৯ || আপডেট: ২০১৮-১২-০১ ২০:৫৬:৫৯

Spread the love

গণ গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ঐক্যফ্রন্টের
ঢাকা: প্রতিদিন গণহারে মনোনীত প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গ্রেফতারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা যেন বাস্তবায়ন করা হয়।

আজ (শনিবার) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করার জন্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু প্রতিদিন প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গ্রেফতারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা যেন বাস্তবায়ন করা হয়। তা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অপরিহার্য। কিন্তু সেটা ন্যূনতমও পূরণ হয়নি।

খালেদা জিয়াসহ সব গ্রেফতার করা নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়ে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে : ড. কামাল

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে যেসব আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে, তা তুলে ধরতে হবে গণমাধ্যমকে। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। প্রতিদিন পাইকারি হারে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেই গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জনগণকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। কোনো ধরনের হুমকি এলে জনগণকে সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করতে হবে।

নির্বাচনের দিন সকালে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, দেশের মানুষ অবাধ নির্বাচন চায়। এটা সরকারের অনুকম্পার বিষয় না, সংবিধান এটা নিশ্চিত করেছে।

গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা আরো বলেন, জনগণ হলো ক্ষমতার মালিক, ১৬ কোটি মানুষের কাছে এ তথ্য তুলে ধরুন। তাহলে জনগণ যে রাষ্ট্রের মালিক, তা অনুধাবন করতে পারবে। জনগণ সক্রিয়ভাবে দেশ পরিচালনা করবে।

যোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় দেখেছি, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে সব কিছুই সম্ভব। নির্বাচনের সময় ফটো বা ভিডিও করা যাবে না বলে নির্বাচন কমিশন আইন করেছে, সেটা বাতিল করা না হলে আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে শেখ হাসিনা জোরালোভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতায় এসে তিনি তা বাতিল করে দিলেন। আদালতের রায়েও বলা আছে, আরো দুই বার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে।

জনগণের আস্থা পেয়ে সরকারে গেলে সংবিধান অনুযায়ী সবকিছু পরিচালিত করা হবে বলেও জানান প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু ও অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।

Logo-orginal