, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

গাজীপুর-৫ আসনের প্রার্থী বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন আটক

প্রকাশ: ২০১৮-১২-১৩ ২০:৪৪:৪০ || আপডেট: ২০১৮-১২-১৩ ২০:৪৫:৪২

Spread the love

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম. ফজলুল হক মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জের বর্তুল থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিকেলে বিক্ষোভ করেছে বিএনপিসহ ঐক্য জোটের নেতা-কর্মীরা

গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা থানাসহ বিভিন্ন থানায় নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৭টি মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতেই ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ ও গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গাজীপুরের কালীগঞ্জে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে বিকেলে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে রমনা থানার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।

মিলনের আইনজীবী পারভিন আক্তার ও স্ত্রী শম্পা হক সাংবাদিকদের জানান, ফজলুল হক মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৩৩টি মামলা রয়েছে। তিনি সব মামলায় জামিনে রয়েছেন। বুধবার তিনি সর্বশেষ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বৃহস্পতিবার বাসায় ফেরেন। তারপরও তাকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে খাবার খেয়ে মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন সময় গোয়েন্দা পুলিশ সেখান থেকে মিলনকে আটক করে নিয়ে গেছে। উপরের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ্এর কয়েকদিন আগে মিলনের ঢাকার বাসায়ও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতংকে তিনি এতোদিন গাজীপুরে যাননি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ফজলুল হক মিলন নির্বাচনী কাজ করতে গ্রামের বাড়িতে যান।

এদিকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবীতে বিএনপিসহ ঐক্য জোটের নেতা-কর্মীরা বিকেলে একটি মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

জামায়াতের নিন্দা

ফজলুল হক মিলনকে গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ, জেলা জামায়াতের আমীর ড. আবু তাসনীম ও মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি খায়রুল হাসান।

এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। তারা বলেন একের পর এক বিরোধী দলীয় নেতা এমনকি নির্বাচনী প্রার্থী গ্রেফতারের পরও নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে যাচ্ছে। উৎসঃ নয়া দিগন্ত ।

Logo-orginal