, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

জামায়াতে ২৫ প্রার্থীর বিষয়ে যে আদেশ দিল হাইকোর্ট

প্রকাশ: ২০১৮-১২-১৮ ১৪:১৯:১০ || আপডেট: ২০১৮-১২-১৮ ১৪:১৯:১০

Spread the love

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া জামায়াত ইসলামীর ২৫ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলপূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে চার ব্যক্তির করা আবেদন তিন দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ নির্দেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

এর আগে গতকাল সোমবার জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি হয়। শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত তা মুলতবি করেন আদালত।

রিট আবেদনটি করেন তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. আলী হোসেন, মো. এমদাদুল হক ও হুমায়ুন কবির। রিটে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ২২ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনজন জামায়াত প্রার্থীর ভোটে অংশগ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।

আবেদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া জামায়াত নেতাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করতে রুল জারির প্রার্থনা করা হয়েছে। রুলে বিচারাধীন থাকাবস্থায় বৈধ প্রার্থী হিসেবে ইসি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা স্থগিত চাওয়া হয় রিটে।

সোমবারের শুনানিতে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। পরে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। ওই রায়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১)(বি)(২) এবং ৯০সি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও সংবিধান পরিপন্থী। রায় এখনও বহাল।

তিনি বলেন, যেহেতু জামায়াতের নিবন্ধন নেই, সেহেতু ওই দলের কোনো নেতা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছেন না। অন্য দলের প্রতীকেও তাদের ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। এর পরও জামায়াতের নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে ইসি হাইকোর্টের রায় ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের বিভিন্ন বিধির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, জামায়াতের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা সেটি দেখার দায়িত্ব ইসির। কমিশনের কাজ আমরা করব না। আমরা শুধু রুল জারি করতে চাই। পরে হাইকোর্ট আজ পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। সুত্রঃ যুগান্তর।

Logo-orginal