, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

খুলনাকে গুটিয়ে দিয়ে আবারো জয় পেল সাকিবের ঢাকা

প্রকাশ: ২০১৯-০১-০৯ ১২:৪৭:১৭ || আপডেট: ২০১৯-০১-০৯ ১২:৪৭:১৭

Spread the love

ক্রীড়া ডেস্কঃ আগের আসরে ফাইনালে গিয়েও শিরোপা জিতেত না পারার ঝালটা বেশ ভালই মেটাচ্ছে ঢাকা ডাইনামাইটস।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে উড়িয়ে দেওয়ার পর এবার খুলনা টাইটান্সকেও উড়িয়ে দিল সাকিবের দল। সংবাদ দৈনিক আজাদীর।

প্রথম ম্যাচের মত এ ম্যাচেও আফগান হার্ড হিটার হজরতউল্লাহ জাজাই তুলোধোনা করলেন খুলনার বোলারদের। সুনিল নারাইনের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটিতে উঠল ঝড়। ঢাকা ডায়নামাইটসের বড় স্কোরে আবারও পিষ্ট প্রতিপক্ষ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। খুলনা টাইটান্সকে হারিয়েছে তারা ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। বিপিএলে এটি ঢাকা ফ্রাঞ্চাইজির সবচেয়ে বড় জয়। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় এটি বিপিএলে ।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ঢাকা জিতেছিল ৮৩ রানে। দিনের প্রথম ম্যাচে এবারের বিপিএলের প্রথম দুই দিনেই দেখা গেছে রান খরা। তবে ঢাকা সেখানে ব্যতিক্রম। মিরপুরে গতকাল মঙ্গলবার শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ঢাকার দুই ওপেনার। ২০ আর সে সুবাধে নির্ধারিত ২০ ওভারে ঢাকা সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ১৯২ রান। আর জবাবে খুলনা ধুঁকতে ধুঁকতে থমকে যায় ৮৭ রানে। ফলে বরণ করতে হয় ১০৫ রানের বিশাল পরাজয়।

এবারের বিপিএলে সবাইকে ছাপিয়ে নায়ক বনে যাচ্ছেন আফগান ব্যাটসম্যান হজরতউল্লাহ জাজাই । ঠিক যেন আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই আবার গতকাল শুরু করেন জাজাই। প্রথম ওভারে আলি খানকে বাউন্ডারি মেরে শুরু। দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামকে স্বাগত জানান বিশাল ছক্কা মেরে। ওই ওভারেই সুযোগ দিয়েছিলেন জাজাই। কিন্তু মিড অনে ক্যাচটি নিতে পারেননি ডেভিড ভিসা।

১২ রানে জীবন পেয়ে আরও অপ্রতিরোধ্য হয় ওঠেন আফগান ওপেনার। ঝড়টা বেশি যায় ১৭ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার শরিফুলের ওপর দিয়ে। তার এক ওভারেই তিন ছক্কা, দুটি চার মারেন জাজাই। আরেক পাশে সুনিল নারাইনও ছিলেন আগ্রাসী। আমেরিকান পেসার আলি খানের এক ওভারে মারেন চার ও ছক্কা। ৫ ওভারেই ঢাকা তোলে ৬৭ রান। দুই বাঁহাতির ব্যাট উত্তাল হলেও বিস্ময়করভাবে খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেকে কিংবা আরেক অফ স্পিনার পল স্টার্লিংকে তখন আনেননি বোলিংয়ে। ১৪ বলে ২৯ রান করা নারাইনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ভিসা। তবে তিন নম্বরে নেমে রানের গতি ধরে রাখেন রনি তালুকদার।

খুলনা নিজেদের দোষে ভুগেছে এখানেও। ১০ রানে রনির ক্যাচ নিতে গিয়ে ছক্কা বানিয়ে দেন স্টার্লিং। ৮.৫ ওভারে ঢাকা স্পর্শ করে ১০০ রান। পরে সেই মাহমুদউল্লাহ ও স্টার্লিং বোলিংয়ে এসেই রাশ টেনে ধরেন একটু। ১৮ বলে ২৮ রান করা রনিকে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। নিজের একমাত্র ওভারে স্টার্লিং পরপর দুই বলে আউট করেন জাজাই ও সাকিব আল হাসানকে। আগের ম্যাচে ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা জাজাই গতকাল হাফ সেঞ্চুরি পুরণ করেন ২৫ বলে ।

শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৫ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৭ রান করে। দ্রুত কয়েকটি উইকেটে মাঝে একটু কমে যায় দলের রান। কিন্তু কাইরন পোলার্ড ও আন্দ্রে রাসেল উইকেটে গিয়ে নতুন করে যেন দম দেন আবার। দুই ক্যারিবিয়ানের জুটিতে পঞ্চাশ রান আসে ৩১ বলেই। ৩ ছক্কায় রাসেল করেন ২৫ রান। পোলার্ডের ব্যাট থেকে ১৬ বলে আসে ২৭ রান। আগের ম্যাচের ১৮৯ রান ছাড়িয়ে ঢাকা এবার েসংগ্রহ করে ১৯২ রান। যা এবারের বিপিএলে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ১ ওভারে দুই উইকেট পাওয়ার পর আর বোলিং পাননি স্টার্লিং। প্রতিপক্ষের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সামনেও ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন পেসার ভিসা।

খুলনার যা ব্যাটিং শক্তি, ঢাকার বোলিংয়ের বিপক্ষে এই রান তাড়া করা তাদের কাছে ছিল ভীষণ কঠিন। তারা জাগাতে পারেনি ন্যূনতম সম্ভাবনাও। শুরুতে আগের ম্যাচের মত ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। কিন্তু আরেক পাশে উইকেটে পড়েছে নিয়মিত। শেষ পর্যন্ত ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ৩১ রান করে সাকিবের শিকার হন জুনায়েদ। এরপর দলের প্রয়োজনের মুহুর্তে মিডল অর্ডারে দলকে হতাশ করেন মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এ দুজন ফিরেছেন যথাক্রমে ৮ এবং ১৩ রান করে। আরিফুলের অপরাজিত ১৯ রান কিছুটা লজ্জা কমিয়েছে মাত্র।

শেষ দিকে সফিল্ডিংয়ে আঘাত পাওয়া আলি খান নামতে পারেনি ব্যাটিংয়ে। আর তাতেই ১৩ ওভারেই শেষ হয়ে যায় খুলনা টাইটান্সের ইনিংস। ঢাকার পক্ষে সাকিব ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেণ সুনিল নারাইন। ঢাকার টানা দ্বিতীয় জয়ে দ্বিতীয়বার ম্যাচ সেরা হযরতউল্লাহ জাজাই। দুই ইনিংসে তার ব্যাট থেকে ছক্কা এসেছে এক ডজন।

Logo-orginal