admin
প্রকাশ: ২০১৯-০১-০৮ ১৫:৫৭:০০ || আপডেট: ২০১৯-০১-০৮ ১৫:৫৮:৫০
দুই বছর বয়সী রাবেয়া ও রোকেয়া মুখভরা হাসি। বাঁচার নতুন স্বপ্ন নিয়ে তারা বাংলাদেশের পাবনা থেকে পাড়ি দিয়েছে হাঙ্গেরিতে। জমজ জোড়া লাগাই এই দু’বোনকে আলাদা করার জন্য প্রস্তুত সেখানকার চিকিৎসকরা। তবে তার জন্য প্রয়োজন কিছু প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা।
তারপরই অপারেশনের টেবিলে মাথায় জোড়া লাগা এই দুই শিশুকে আলাদা করার কঠিনতম কাজটি করবেন চিকিৎসকরা। এ পুরো প্রক্রিয়ার নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন ফ্রিডম’। তাদের এ কাহিনী এখন বিদেশী মিডিয়ায় বেশ ফলাও করে প্রকাশ হচ্ছে।
লন্ডনের অনলাইন মিরর সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তাতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে পাবনার একটি ক্লিনিকে জন্ম হয় রাবেয়া ও রোকেয়ার। কিন্তু আর দশটি স্বাভাবিক শিশুর মতো নয় তারা। জোড়া লাগা জমজ হয়ে জন্মেছে এ দু’বোন। তাও আবার মাথায় জোড়া লাগা। বাংলাদেশের পর এবার তারা বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে, আলাদা সত্তা নিয়ে, আলাদা মানুষ হিসেবে বাঁচার আশা নিয়ে তারা এখন হাঙ্গেরিতে।
তাদেরকে দেখাশোনা করছে হাঙ্গেরির টিম একশন ফর ডিফেন্সলেস পিপল ফাউন্ডেশন।
ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি। এখানে শনিবার পা রেখেছে রাবেয়া ও রোকেয়া। এখানেই তাদের নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় অপারেশন করে তাদের মাথার জোড়া আলাদা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর বিশেষ প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে। টিস্যু বর্ধিতকরণ ব্যবস্থায় এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
একশন ফর ডিফেন্সলেস পিপল ফাউন্ডেশনের এক মুখপাত্র বলেছেন, তিন দফায় অপারেশন করা হবে। প্রথম দফায় এই যমজের ব্রেনের রক্ত সংবহন ব্যবস্থা আলাদা করা হবে। এ কাজটি করবেন নিউরোসার্জন ডা. ইস্তভান হুদাক। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্লাস্টিক সার্জারি ও নিউরোসার্জারি বিভাগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ও আগস্টে এমন পদ্ধতিতে দুটি সফল অপারেশন করেছেন।
এখন এই জমজ জোড়া বোনকে হাঙ্গেরিতে নেয়া হয়েছে গুরুত্ব বিবেচনা করে। তাদের অপারেশন করা হবে অত্যাধুনিক, কার্যকর যন্ত্রপাতি ও ডিভাইস ব্যবহার করে। চূড়ান্ত দফায় ব্রেন ও মাথার খুলি আলাদা করবেন নিউরোসার্জন ডা. আন্দ্রাস কোকাই।
রাবেয়া ও রোকেয়ার পিতামামা মোহাম্মদ ও তাসলিমা খাতুন। তারা দু’জনেই শিক্ষক-শিক্ষিকা। তারা জানেন না, অপারেশন কতটা সফল হবে। আদৌ মেয়ে দুটিকে নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন কিনা। মা তাসলিমা বলেন, মেয়ে দুটির ভবিষ্যতের জন্যই তাদেরকে আলাদা করা দরকার। কারণ, তারা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারছে না। সুত্র: মানবজমিন ।