, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সংসদ নির্বাচনের রেশ না কাটতেই, উপজেলা নির্বাচনী ঢেউ চট্টগ্রামে

প্রকাশ: ২০১৯-০১-১১ ১৩:৪৩:১৫ || আপডেট: ২০১৯-০১-১১ ১৩:৪৩:১৫

Spread the love

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী মার্চ মাসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচনের রেশ না কাটতেই দেশজুড়ে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা বেশ জমে উঠেছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় আলোচনার ঝড় বইছে এই নির্বাচন নিয়ে।প্রতিবেদন দৈনিক নয়া দিগন্তের ।

কে হচ্ছেন প্রার্থী, দলীয় মনোনয়ন কে পাবে? বিএনপি আদৌ উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কি-না, আওয়ামী লীগের টিকেট পাচ্ছেন কে? এসব নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কি-না, এই বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।

সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনী আলোচনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায়। মিরসরাইয়েও এ নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বাদ যাচ্ছে না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোও। সম্ভ্যাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রার্থীদের পক্ষে জোরে-শোরে প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হলেও এখনো নিরব বিএনপি। তাদের মধ্যে এ নিয়ে কোন আগ্রহই দেখা যাচ্ছে না। আগামী মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভবনা রয়েছে। এ নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠ পর্যায়ের সরব হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে এমপি এবং জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এ নিয়ে স্থানীয় রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর মধ্যে অন্যতম নির্বাচন হলো ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন’। এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছিলেন সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা নুরুল আমিন। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও বিএনপির প্রার্থী মাঈন উদ্দিন মাহমুদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইয়াছমিন আক্তার কাকলী জয়ী হয়েছিলেন।

আগেরবার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করায় জয়ী হন বিএনপির প্রার্থীরা। তবে বেশিদিন চেয়ারম্যান পদে থাকতে পারেননি নুরুল আমিন। দায়িত্ব গ্রহণের ৬ মাসের মাথায় নাশকতা মামলার কারণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে তিনি বহিস্কৃত হন। তখন থেকে অধ্যবদি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াছমিন আক্তার কাকলী।

আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভ্যাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিডিএ মেম্বার আলহাজ্ব জসীম উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারী নুরুল আনোয়ার বাহার চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য শেখ আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াছমিন আক্তার কাকলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হিসেবে করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এসএম আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা সমাজ সেবক ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মাস্টারের নাম শোনা যাচ্ছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ইসমত আরা ফেন্সী ও আলেয়া আক্তারের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম বলেন ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে দলের ‘মনোনয়ন বোর্ড’। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূল থেকে মতামত নিয়ে কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়। এরপর মনোনয়ন বোর্ড সেখান থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। বর্তমান সিইসির অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না তা দেশবাসী প্রমাণ পেয়েছে। এ কারণে বিএনপির মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।’

Logo-orginal