, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

Avatar rtm

সাতকানিয়ায় মনোনয়ন চান এক ডজন নেতা, জনপ্রিয়তায় শীর্ষে নুরুল আবছার চৌধুরী

প্রকাশ: ২০১৯-০১-২৯ ১৯:৩৮:১৪ || আপডেট: ২০১৯-০১-২৯ ২১:২৭:৪৫

Spread the love

মোস্তাফা কামাল নিজামী: আসন্ন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়নের জন্য এক ডজন নেতা আবেদন করেছেন। তারা চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের মাধ্যমে দলীয় সভানেত্রীর বরাবরে এ আবেদনপত্র জমা দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষাণাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকা, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কর্মী সমর্থকরা নিজ নিজ সমর্থিত নেতাদের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এবারে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবেদন করা প্রার্থীরা হলেন, চট্টগাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ নুরুল আবছার চৌধুরী, আব্দুল মোনাফ, মোস্তাক আহমদ আঙ্গুর, ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, মাষ্টার ফরিদুর আলম, গোলাম ফারুক ডলার, কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, বশির আহমদ চৌধুরী, ফয়েজ আহমদ লিটন, জসিম উদ্দিন, আবু ছালেহ ও সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এরফানুল করিম। এদের মধ্যে থেকে দলের জন্য নিবেদিত, ত্যাগী, দুঃসময়ের নির্যাতিত ও তৃণমূল থেকে উঠে আসা জনপ্রিয়, সৎ ব্যাক্তিদের বাচাই করে প্রতি পদের জন্য তিন জন করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠাবে জেলা আওয়ামী লীগ।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি পদে সম্ভাব্য তিন প্রার্থীর মধ্যে থেকে একজনকে মনোনয়ন দিবে দলটি।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, আমরা দলের তৃনমূল বর্ধিত সভা করে প্রতি উপজেলা থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম সংগ্রহ করেছি। সংগ্রহকৃত নামের মধ্যে থেকে প্রতিপদে তিনজনের নাম পাঠাবো কেন্দ্রে। সেখান থেকে প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে। মনোনয়ন না পাওয়া সবাই দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে।

মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ এবং সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন, গত নির্বাচনে আমার নিজ কেন্দ্রে আরেকজন আওয়ামীলীগ সর্মথিত (এ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব চৌধুরী) প্রার্থী হওয়ার পরও ৪৫,৮০০ ভোট পেয়ে ২য় স্থান অধিকার করি। সেই সময় জামাত বিএনপির সৃষ্ট বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের কারনে কেউ নির্বাচন করতে এগিয়ে আসেন নি, এমনকি পাশ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলায়ও কেউ দলের প্রার্থী হতে রাজী হন নি। এমন প্রতিকুল পরিবেশে দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমি নির্বাচন করেছি। এবার দলীয় মনোনয়ন পেলে অবশ্যই বিজয়ী হব বলে আমার বিশ্বাস। সাম্প্রতিক সময়ে আমার সাথে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেত্রী আমাকে উপজেলা নির্বাচনে কাজ শুরু করার জন্য প্রাথমিক ভাবে বলেছেন। আমিও কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে সম্পৃক্ত। সর্বশেষ দলের উপজেলা কাউন্সিলে দলের তৃনমূল নেতাকর্মীরা আমাকে ভোট দিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছেন। এবারের নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। মনোনয়ন পেলে আমার বিজয় নিশ্চিত।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়মীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোস্তাক আহমদ আহমদ আঙ্গুর বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয় লাভ করতে পারব।

মাষ্টার ফরিদুর আলম বলেন, আমি দীর্ঘ দুই যুগের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালক ও সচিবের দায়িত্ব পালন করেছি। কোন কেন্দ্রে কি অবস্থা তার আমার কাছে মুখস্থ। আমি এবার নির্বাচন পরিচালক নয়, চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চাই।

এ ব্যাপারে সরে জমিনে গিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের কাছে জানতে চাইলে সাতকানিয়া উপজেলা পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক হারুনর রশিদ বলেন, একজন সৎ, নির্লোভ, নিরহংকার পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে নুরুল আবছার চৌধুরী সব মহলে পরিচিত। এবং সাতকানিয়া সাধারণ মানুষের কাছে গুড ইমেজ ও সহজ-সরল সাদা মনের মানুষ হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতা অন্যান্যদের তুলনাই অনেকাংশ বেশি। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে নিজ দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, সমবায় ও একাদিক সংগঠনের সভাপতি এবং বর্তমান সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি দায়িত্ব পালন করতেছেন। যিনি ইতোমধ্যে সমাজসেবা ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য একাদিক স্বারক সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়েছেন।

সাতকানিয়া সোনাকানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমদ কবির ভেট্টা বলেন, শুনছি এবারের উপজেলা নির্বাচনে এক ডজন নেতা মনোনয়নের আবেদন জমা দিয়েছেন, বিগত ২০১৪ ইং সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সেই সময় জামাত বিএনপির সৃষ্ট বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের কারনে কেউ নির্বাচন করতে এগিয়ে আসেন নি, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে এসব নেতাদের কোন উৎপাতই ছিলো না, অথচ আর এখন দলের ভাল পজিশন দেখে সবাই এখন প্রার্থী।

সাতকানিয়া পৌর সদরের আবু মুহাম্মদ তৈয়ব নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে আবছার ভাইকে চিনি, উনি মানুষটা বাহিরের দিকে দেখতে যেমন, ভিতরটা তেমন সাদা মনের সহজ-সরল মানুষ। উনার মধ্যে কোন অহংকার নেই, লোভ লালসা নেই। যার মধ্যে নেই দুর্নীতির কোন ছোয়া। সৎ, ত্যাগী, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে আগামী সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য আবছার ভাই সবদিক দিয়ে এগিয়ে।

Logo-orginal