, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আবারো লাশের গলায় লেখা, আমি ধর্ষক” তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

প্রকাশ: ২০১৯-০১-২৭ ০০:১৪:১১ || আপডেট: ২০১৯-০১-২৭ ০০:১৪:১১

Spread the love

মাসুদ রানা সিরিজের অগ্নিপুরুষ বইটা পড়েছিলেন কারা? ইতালীয়ান এক কিশোরী লুবনার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ক্ষ্যাপা চিতার মতো মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রানা, নিজের প্রাণের মায়া ভুলে গিয়ে এক এক করে দুনিয়া থেকে সেই অমানুষগুলোর নাম নিশানা চিরতরে মুছে দিয়েছিল এই এসপিওনাজ এজেন্ট।

রানার মতোই কেউ একজন কি হাজির হয়েছে বাংলাদেশেও? প্রশ্নটা একারণেই উঠছে, পরপর দুই সপ্তাহে দেশের দুটো আলাদা জায়গায় দুজন ধর্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে! দুজনকেই গুলি করে খুন করা হয়েছে, আর দুটো লাশের পাশেই পাওয়া গেছে সাদা কাগজে লেখা চিরকুট, আর সেই চিরকুটে লেখা ছিল ধর্ষণের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি!

গত ১৮ই জানুয়ারী সাভারের আমিন মডেল টাউন থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রিপন নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই রিপন এক গার্মেন্টস কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ছিল। গত ৫ জানুয়ারি সাভারের আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক সংঘবদ্ধ  ধর্ষণের শিকার হন। এর এক দিন পর ওই নারী  মারা যান। পরে ঘটনায় ওই নারীর বাবা মামলা দায়ের করেন, সেই মামলার আসামী ছিল রিপন। ঘটনার দুই সপ্তাহের মাথায় সে খুন হয়। রিপনের লাশ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তার গলায় বাঁধা ছিল একটা কাগজ, আর সেই কাগজে লেখা ছিল- ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা!’ 

প্রায় একই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে আবারও। এবারের ঘটনাস্থল ঢাকা থেকে প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরের জেলা ঝালকাঠি। আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে বলতলা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া থানার পরির্শক এনামুল জানান, “মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সজলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় সুতা দিয়ে ঝুলানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল: ‘আমার নাম সজল, আমি কারিমা আখতারের ধর্ষক, তাই আমার এই পরিণতি’।”

ভাণ্ডারিয়া ও কাঁঠালিয়া থানা পুলিশ জানান, গত ১২ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের বাড়ি থেকে পাশের হেতালিয়া গ্রামে নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে পানের বরজের ভেতর গণধর্ষণ করা হয়। সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে মেয়েটির পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। যেন এ ঘটনা কাউকে না জানায় এবং কোনো ধরনের মামলা না করে, মামলা করা হলে পরিণতি খুব খারাপ হবে বলেও শাসানো হয়।

ভয়ে নির্যাতিতা মেয়েটির পরিবার ও স্বজনরা পালিয়ে পালিয়ে ছিলেন বেশ কিছুদিন। ঘটনার ৩দিন পর গত ১৪ জানুয়ারি মেয়ের বড় ভাই বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় সজল ও রাকিব হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে উভয় আসামি পালাতক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের খাতায় সজল পলাতক থাকলেও, নিয়তির হাত থেকে রক্ষা পায়নি সে। অজানা এক আততায়ী নিজেই তাকে সাজা দেয়ার ভার হাতে তুলে নিয়েছিল। #সংগৃহীত ফেইচবুক থেকে।।

Logo-orginal