, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

Avatar rtm

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: সাতকানিয়ায় আ.লীগের মনোয়ন চান ৫ জন

প্রকাশ: ২০১৯-০১-১৩ ১০:৫৬:৩৪ || আপডেট: ২০১৯-০১-১৩ ২২:২৫:১৭

Spread the love

মোঃ জাহেদুল ইসলাম, আরটিএমনিউজ২৪ডটকম: জাতীয় নির্বাচনের পর পরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে হাট-বাজার, চায়ের দোকান, পাড়া-মহল্লায়। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর উপজেলাতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে তৎপর আওয়ামী লীগ। দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী মার্চ মাসে করতে চায় নির্বাচন কমিশন। মার্চে নির্বাচন হলে জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়ে-চড়ে বসেছেন। প্রার্থীদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকেও শুরু হয়েছে জোর প্রচার-প্রচারণা।

চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে এবার ১৪টিতেই কয়েক ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় শুধুমাত্র কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন মার্চে হবে না। বাকি ১৪ উপজেলা হলো- মিরসরাই উপজেলা পরিষদ, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ, সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ, সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ, রাউজান উপজেলা পরিষদ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ, বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ, পটিয়া উপজেলা পরিষদ, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ, সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ।

বিএনপি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিএনপির প্রার্থীদের কোনো ধরনের সাড়া নেই। প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে।

তবে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নিশ্চুপ থাকলেও প্রতি উপজেলায় আওয়ামী লীগের চার থেকে আটজন প্রার্থী তৎপর আছেন। এতে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল তাতে ভাঙন ধরার শঙ্কা জেগেছে।

দলীয় সূত্রগুলো জানায়, দলে সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ার কারণে মনোনয়ন দিতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের পছন্দের প্রার্থীরাই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বেশি। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। চট্টগ্রামের প্রত্যেক উপজেলা থেকে জেলার কাছে তিনজন করে প্রার্থীর তালিকা চাওয়া হবে। পরে সে তালিকা কেন্দ্রের কাছে পাঠানোর পর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ নিজস্ব জরিপে এগিয়ে থাকা প্রার্থীকেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে দলীয় হাইকমান্ড। তবে এখনো প্রার্থী বাছাই নিয়ে কেন্দ্র থেকে কোনোধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা থাকবে। এখনো কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড আছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দিবে মাঠপর্যায়ে তা আমরা অনুসরণ করবো। উপজেলা- জেলার পাঠানো তালিকা থেকেই যোগ্যদের মনোনয়ন দিবে আওয়ামী লীগ।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যেসব উপজেলায় দল মনোনীত প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছিল সেখানে এবার নতুন প্রার্থী আসার সম্ভাবনা আছে। বাকি উপজেলাগুলোতে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানরা পুনরায় মনোনয়ন পেতে পারেন। এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন সংসদ সদস্যসহ জেলা নেতাদের পছন্দের প্রার্থীরা। তবে জাতীয় নির্বাচনে কার কিরূপ ভূমিকা তা বিবেচনায় রেখেই প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৪ উপজেলায় আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ৭০ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন।

চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আরটিএমনিউজের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আজ থাকছে সাতকানিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের খবর…

আয়তন ও অবস্থান: সাতকানিয়া উপজেলার আয়তন ২৮২.৪০ বর্গ কিলোমিটার। উপজেলার উত্তরে চন্দনাইশ উপজেলা, উত্তর-পশ্চিমে আনোয়ারা উপজেলা, পশ্চিমে বাঁশখালী উপজেলা, দক্ষিণে লোহাগাড়া উপজেলা এবং পূর্বে বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর উপজেলা অবস্থিত। সমতল ভূমি, পাহাড় ও সাঙ্গু নদী ও ডলু নদী দ্বারা বেষ্টিত সাতকানিয়া উপজেলা চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

নামকরণ ও ইতিহাস: ব্রিটিশ শাসনামলে প্রশাসনিক ও বিচার কাজের স্বার্থে এই এলাকায় আদালত ভবন স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে বর্তমানে অবস্থিত আদালত ভবনের নামে ৭ কানি ভূমি (২৮০ শতক) জনৈক পেঠান নামক এক জমিদার সরকারের অনুকূলে হস্তান্তর/দান করায় তখন হতে এ উপজেলার নামকরণ সাতকানিয়া হয় মর্মে জনশ্রুতি আছে। উল্লেখ্য ঐ সময় হতে বাঁশখালী, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা নিয়ে সাতকানিয়া সার্কেল নামে পরিচিত ছিল। সার্কেলকে আপগ্রেড করে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে পৃথক পৃথক উপজেলা সৃজনের মাধ্যমে আজকের সাতকানিয়া একটি স্বতন্ত্র উপজেলায় পরিগণিত হয়।

প্রশাসনিক এলাকা: সাতকানিয়া থানা গঠিত হয় ১৯১৭সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। এ উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ সাতকানিয়া উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম সাতকানিয়া থানার আওতাধীন।

জনসংখ্যার উপাত্ত: ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাতকানিয়া উপজেলার লোকসংখ্যা ৩,৮৪,৮০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৯০,৯৪১ জন এবং মহিলা ১,৯৩,৮৬৫ জন। বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭%। মোট জনসংখ্যার ৮৯% মুসলিম, ১০% হিন্দু এবং ১% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এ উপজেলায় মগ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

শিক্ষা ব্যবস্থা: সাতকানিয়া উপজেলার স্বাক্ষরতার হার ৬৭%। এ উপজেলায় ৬টি কলেজ (১টি মহিলা কলেজ সহ), ১টি কামিল মাদ্রাসা, ৫টি ফাজিল মাদ্রাসা, ৫টি আলিম মাদ্রাসা, ২১টি দাখিল মাদ্রাসা, ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৫টি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ), ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫টি রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪টি কওমী মাদ্রাসা ও ৪৪টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।

স্বাস্থ্য: সাতকানিয়া উপজেলায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৫টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ১৩টি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ৬টি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ১টি দাতব্য চিকিৎসালয় ও ৪টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে।

অর্থনীতি: প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু , মরিচ , বেগুন ও টমেটো।

শিল্প: আইস ফ্যাক্টরী (২৬টি), কাঠ শিল্প (১টি), চাল কল (১৯০টি), আটা কল (২০টি) এবং কল ঢালাই (৩৫টি)।
কুটিরশিল্প: বাঁশের (১৭৬৪টি), সেলাই (৫০০টি), পাট কাজ (৩০০টি), কাঠের কাজ (২৫৩টি), স্বর্ণকার (১৮০টি), কুমার (১৭৭টি), কামার (১৪৫টি), বয়ন (১৩১টি), কারচুপি কাজ (২৫টি), উলের কাজ (২০টি), থ্রেড (৩০টি), নকশী কণ্ঠ, মাছ ধরার জাল বুনন ইত্যাদি।

যোগাযোগ ব্যবস্থা: সাতকানিয়া উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। এছাড়া এ উপজেলায় ১১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ১৩৪ কিলোমিটার আধা পাকা রাস্তা, ৪৫৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ও ৩৯ নটিক্যাল মাইল নৌপথ রয়েছে।
ধর্মীয় উপাসনালয়: সাতকানিয়া উপজেলায় ১০২৫টি মসজিদ, ৭১টি মন্দির ও ৮টি বিহার রয়েছে।

নদ-নদী: সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে সাঙ্গু নদী। এছাড়া রয়েছে ডলু নদী সহ আরো ৮টি ছোট-বড় খাল।

দর্শনীয় স্থান: বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার, হলুদিয়া প্রান্তিক লেক, আলিশা ডেসটিনি প্রজেক্ট, কেঁওচিয়া বন গবেষণা প্রকল্প, চরতী বেলগাঁও চা বাগান, দরবারে আলিয়া গারাংগিয়া, সাঙ্গু নদীর পাড় ও বৈতরণী-শীলঘাটার পাহাড়ী এলাকা, আমিলাইশ বিল ও চরাঞ্চল, মাহালিয়া জলাশয়, সত্যপীরের দরগাহ, ন্যাচারাল পার্ক, দারোগা মসজিদ ও ঠাকুর দীঘি, ডলু খাল আনিস বাড়ী জামে মসজিদ, তালতল নলুয়া রোড, মির্জাখীল দরবার শরীফ, সোনাকানিয়া মঞ্জিলের দরগাহ, মাজের মসজিদ, মক্কার বলি খেলার মাঠ এবং কাজীর জামে মসজিদ।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ: দারোগা মসজিদ (সাতকানিয়া) (পঞ্চদশ শতাব্দী), ডেপুটি মসজিদ (সোনাকানিয়া) (পঞ্চদশ শতাব্দী), মূর্তি সম্বলিত মুদ্রা ও ঠাকুর দীঘি (সাতকানিয়া) (ত্রয়োদশ শতাব্দী), কোতওয়াল দীঘি (সোনাকানিয়া) (ত্রয়োদশ শতাব্দী), শিবমন্দির (ঢেমশা), বোমং হাট গির্জা (বাজালিয়া), হিন্দুপাড়া মন্দির (কাঞ্চনা) ও আকবরবাড়ী জামে মসজিদ(১৬৮০সাল)।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের রক্তঝরা দিনগুলিতে অকুতোভয় মুক্তিকামী বীর বাঙ্গালীর সশস্ত্র লড়াই ও সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ হানাদার মুক্ত হয়েছিল বীর চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় সাতকানিয়াও পাক হানাদার মুক্ত হয়। সেই যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন সাতকানিয়ার ২১ জন বীর সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে সাতকানিয়ায় স্থাপিত হয়েছে একটি স্মৃতিফলক। ১৯৭১ সালের ৮ আগস্ট সাতকানিয়া বাজার ও সতীপাড়া থেকে ১৭ জন নিরীহ লোককে ধরে নিয়ে হত্যা করে। পাকবাহিনী দক্ষিণ সাতকানিয়ার বানিয়াপাড়ায় লুটপাট করে এবং বেশকিছু বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ করে। পরবর্তীতে পাকবাহিনী ২৪ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে।

কৃতী ব্যক্তিত্ব: অধ্যাপক মনিন্দ্রলাল ভট্টাচার্য্য –– ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি আর্মির হাতে গ্রেপ্তার ও প্রাণে বেঁচে যাওয়া আহত বুদ্ধিজীবি।
আনোয়ারুল আজিম আরিফ –– শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন ভিসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আবদুন নুর তুষার –– মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
আবদুল করিম –– প্রাক্তন যুগ্ম সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন –– রাজনীতিবিদ।
আবুল ফজল –– সাহিত্যিক।
ইঞ্জিনিয়ার এ এ এম জিয়া হোসাইন –– প্রাক্তন প্রধান প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম ইপিজেড।
এবি ছিদ্দিক –– রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন –– শিক্ষাবিদ ও সাবেক ভিসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
ড. খালিকুজ্জামান –– শিক্ষাবিদ।
ডাঃ বি এম ফয়েজুর রহমান –– রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
বিমল গুহ –– কবি ও লেখক।
মাওলানা এএসএম আবদুল গণি –– ইসলামী ব্যক্তিত্ব।
যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্ত –– রাজনীতিবিদ, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, নিখিল ভারত কংগ্রেস।
রায় সাহেব কামিনীকুমার ঘোষ –– শিক্ষাবিদ।
শাহ মাওলানা আব্দুর রশিদ হামেদী ছিদ্দিকী –– ইসলামী ব্যক্তিত্ব।
শাহ মাওলানা আব্দুল মজিদ –– ইসলামী ব্যক্তিত্ব।

সাতকানিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চান আওয়ামী লীগের ৫ জন সম্ভাব্য প্রার্থী। মনোনয়ন পেতে তারা দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছেন। যোগাযোগ বাড়িয়েছেন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও। তারা সবাই আশাবাদী এবার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষিত-দলের জন্য নিবেদিত প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ।

সাতকানিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তারা হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসীম উদ্দিন।

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন। তিনি হারিয়েছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরীকে। মোটরসাইকেল প্রতীকে জসিম উদ্দিন পান ৬৪ হাজার ৬২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল আবছার কাপ-পিরিচ প্রতীকে পান ৪৫ হাজার ৮৪০ ভোট। জামায়াত অধ্যুষিত এ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন চারজন। বিএনপির শেখ মো. মহিউদ্দিন আনারস প্রতীকে পান ২৯ হাজার ৩৩৫ ভোট। এছাড়া ভাইস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও জয়ী হন জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত প্রার্থীরা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইব্রাহিম চৌধুরী টিউব ওয়েল প্রতীকে পান ৬৭ হাজার ৭৮৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুরদানা ইয়াসমিন কলস প্রতীকে ৬৯ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

আগামীকাল ১৪ জানুয়ারি, সোমবার থাকছে লোহাগাড়া উপজেলা নিয়ে প্রতিবেদন। আরটিএমনিউজের সাথেই থাকুন।

Logo-orginal