, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

Avatar rtm

ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়াই যুবলীগ কর্মীর হাতে নিহত ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসলাম

প্রকাশ: ২০১৯-০১-১২ ২০:০৭:৩৫ || আপডেট: ২০১৯-০১-১২ ২০:০৭:৩৫

Spread the love

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ার লাশ হতে হলো আসলাম হোসেনকে। নিহত আসলাম (১৪) ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী।

আজ শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের ৮ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর এলাকা থেকে পালিয়েছে সে খুনী।

নিহত ছাত্রের পরিবারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার এসআই রিপন আলী খান জানান, গত ৪ মাস পূর্বে চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের ৮ নং ওয়ার্ডের জৈনক দিন মজুরের কিশোরী কন্যাকে রাস্তায় প্রকাশ্যে যৌন হেনস্তা করছিলেন যুবলীগকর্মী মেহেদী হাসান। সে সময় স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিনের ছেলে ও নবকিশলয় স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসলাম হোসেন তাকে বাধা দেয়।

এক সময় মেহেদী আসলামকে কুপিয়ে জখম করলে আসলামের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনরা মেহেদীকেও পিটুনী দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেসময় থেকেই আসলামকে খুন করার জন্য খুঁজতে থাকে মেহেদী। প্রাণভয়ে রূপগঞ্জ থানায় জীবনের নিরাপত্তা দাবি করে একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয় তার পরিবারের পক্ষ থেকে।

এমনকি মেহেদীর ভয়ে আসলাম তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর পালিয়ে যায়। সেখান থেকে ৪১ দিন তাবলিক জামায়েত শেষ করে গত শুক্রবার রাতে সে চনপাড়ায় আসে। এ খবর পেয়ে মেহেদী প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে ও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকে।

আজ দুপুর ১২টার দিকে আসলাম এক বাড়ির সামনে আসলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা মেহেদী ধারালো ছোড়া দিয়ে আসলামের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যায়। মূমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে আসলাম।

এদিকে ঘটনার পরপরই এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে ঘাতক মেহেদী। এই ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল হক।

উৎসঃ মানবজমিন

Logo-orginal