, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

এবার পুলিশ ধর্ষণ করল ওয়াজ শুনতে আসা কিশোরীকে

প্রকাশ: ২০১৯-০১-২৭ ১৪:১২:০২ || আপডেট: ২০১৯-০১-২৭ ১৪:১২:০২

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম নিউজ ডেস্কঃ দেশে মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে ঘৃণিত ধর্ষন, আদিযুগকেও হার মানাচ্ছে পশুরূপি মানবের আচরন।
সমাজের এমন কৃর্তি দেখে ছি ছি করে সবাই, কিন্তু বাস্তব পদক্ষেপ বরাবর মত অধরা।

প্রশাসনের পদক্ষেপ বা আইনি দুর্বলতার সুযোগে প্রভাবশালীদের আসকারা পেয়ে ধর্ষকের শাস্তি না হওয়ায় ধর্ষন থামছে না।

তেমনি আরেক ধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত হল পুলিশ দ্বারা।

দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত সংবাদে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জে ওয়াজ শুনতে নানা বাড়িতে গিয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

ছুটিতে আসা পুলিশের এক কনস্টেবলসহ দুই যুবক তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া জানান, শুক্রবার বিকালে তারাবো হাটিপাড়া এলাকার শিক্ষার্থী তার মায়ের সঙ্গে ওয়াজ শুনতে নানা ওহাব মিয়ার রূপগঞ্জের বাড়িতে আসেন। রাতে বাড়ির লোকজন পার্শ্ববর্তী ছাতিয়ান বেপারী পাড়া মসজিদের বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ শুনতে যান।

আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কথা বলে পুলিশের মাছ নিয়ে গেলেন মেয়র

এ সুযোগে একই এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে ও পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল মৃদুল মিয়া (২৩), সোলেয়মানের ছেলে নিজাম মিয়া (২৪), সিয়াম হোসেন (২২) ওই শিক্ষার্থীকে ঘর থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। এসময় তাকে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

এসআই আরো জানান, ওয়াজ শেষ করে ঘরে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে অজ্ঞান অবস্থায় শিক্ষার্থীকে বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন: স্বামীকে হত্যার পর ওয়ার্ডরোবে রেখে অফিস করলেন স্ত্রী

এদিকে, ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই এলাকাবাসী ওই কনস্টেবলসহ দুজনকে আটক করতে ধাওয়া করে। এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শিক্ষার্থীর মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Logo-orginal