, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

কুয়েত থেকে পালিয়ে যাওয়া সে সৌদি তরুণী থাই ছেড়েছে জাতিসংঘের তত্ত্ববধানে

প্রকাশ: ২০১৯-০১-০৮ ১১:৫৩:৪৭ || আপডেট: ২০১৯-০১-০৮ ১৫:৫১:২৭

Spread the love

কুয়েতে পরিবার থেকে পালিয়ে আসা সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মাদ আল কুন (১৮) অবশেষে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে থাইল্যান্ড ছেড়েছেন। তবে, কোন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তা জানা যায়নি।

থাইল্যান্ডের একজন সরকারি কর্মকর্তা সোমবার জানান, ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে পৌঁছে ওই সৌদি তরুণী থাই সরকারের কাছে জোরালোভাবে আশ্রয় চেয়েছিলেন। খবর বিবিসি ও ডয়চে ভেলের।

থাই অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাকে জোরপূর্বক সৌদি আরবে ফেরত পাঠানো হবে না। সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, যদি তিনি দেশে ফিরতে না চান, তা হলে আমরা তাকে জোর করব না।

থাই অভিবাসন বিভাগের প্রধান সুরাচাতে হাকপার্ন জানান, সৌদি তরুণীকে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। পরে তিনি ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে বিমানবন্দর ছেড়ে গেছেন।

রাহাফ কুয়েত থেকে থাইল্যান্ড হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। রাহাফ জানিয়েছেন, তিনি তার পরিবার থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন।

ফিরতি টিকিট নেই উল্লেখ করে কুয়েতে ফেরত পাঠানোর জন্য থাই কর্তৃপক্ষ সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় একটি হোটেলের কক্ষে রাখেন রাহাফকে। তবে ফেরত পাঠানোর জন্য রাহাফকে হোটেল কক্ষ থেকে আনতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়ে থাই কর্তৃপক্ষ।

ওই তরুণী দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রথমে থাইল্যান্ডে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। সপ্তাহজুড়ে রাহাফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি পোস্ট করে সবার নজর কাড়েন। তিনি বলেন, তার অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে। কিন্তু সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে তার পাসপোর্ট একজন সৌদি কূটনীতিক কেড়ে নিয়ে গেছেন।

এদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই তরুণীর পাসপোর্ট থাকলেও ফিরতি টিকিট না থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে। রাহাফ বলেছেন, তিনি ভয় পাচ্ছেন যে, তাকে জোর করে সৌদি আরবে ফেরত পাঠানো হবে এবং তার পরিবার তাকে হত্যা করবে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপপরিচালক মাইকেল পেজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, পরিবার থেকে পালিয়ে বেড়ানো সৌদি তরুণীকে ফেরত পাঠানো হলে স্বজনদের হাতে তিনি ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হতে পারেন। তার স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে। এ কারণে তাকে সৌদি আরব না পাঠিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে তৃতীয় কোনো দেশে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ব্যাংককে সৌদি দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ওই তরুণীকে বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। ‘কারণ তার ফিরতি টিকিট নেই’ এবং তাকে আজ কুয়েতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। কুয়েতে তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বসবাস করেন। উৎসঃ যুগান্তর।

Logo-orginal