, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

তিন মন্ত্রী পাওয়া চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগের নেতারা কি ভাবছে!

প্রকাশ: ২০১৯-০১-০৮ ১১:২১:৪২ || আপডেট: ২০১৯-০১-০৮ ১১:২১:৪২

Spread the love

নতুন মন্ত্রী সভায় চট্টগ্রাম থেকে স্থান পাওয়া দুই মন্ত্রী ও এক উপমন্ত্রী তাদের মেধা ও দক্ষতায় চলমান মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের পাশাপাশি সামগ্রিক উন্নয়নে জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন বলে মনে করছেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। প্রতিবেদন দৈনিক আজাদীর।

চট্টগ্রাম মহানগর-উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা মনে করেন নতুন মন্ত্রী সভায় স্থান পাওয়া চট্টগ্রামের তিন মন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন। তারা বলেন, উন্নয়নের জন্য বেশি মন্ত্রীর দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী তাদের উপর আস্থা রেখেছেন-তারা নিজ নিজ যোগ্যতায় প্রধানমন্ত্রীর আস্থার জায়গায় সম্মান দেখিয়ে দল-মতোর উর্ধে উঠে চট্টগ্রামের জন্য কাজ করবেন-এটাই চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা।

নতুন মন্ত্রীসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামবাসীকে সম্মানিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।
গতকাল নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের পরপরই সিটি মেয়র এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে অন্তর থেকে ভালোবাসেন। তিনি সব সময় চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দেন। নতুন মন্ত্রী সভায়ও তিনি তার প্রমাণ দিয়েছেন। ভূমিমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা উপ মন্ত্রী দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। চট্টগ্রাম থেকে যারা নতুন মন্ত্রী সভায় স্থান পেয়েছেন তারা চট্টগ্রামের উন্নয়নে সত্যিকার অর্থেই ভুমিকা রাখতে পারবেন।

মেয়র বলেন, আমরা চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ মনে করি তারা (নতুন তিন মন্ত্রী) সমন্বিত ভাবে উদ্যোগ নিলে চট্টগ্রামের প্রত্যাশিত উন্নয়ন হবে। যেহেতু তারা ঢাকায় অবস্থান করছেন তারা কাজ করতে পারবেন। উন্নয়নের সেই মানসিকতা তাদের আছে বলে আমি মনে করি। এই প্রথম তথ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী চট্টগ্রামে দেয়া হয়েছে। আমরা চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ বসে সিদ্ধান্ত নেবো-মন্ত্রী সভায় স্থান পাওয়া নতুন তিন মন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবো।

নতুন মন্ত্রী সভায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কভার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। গতকাল তিনি আজাদীকে জানান, জাবেদ সাহেব (সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ) আগেও মন্ত্রী ছিলেন। ভূমি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তার ইমেজ ভালো ছিল।

ড. হাছান মাহমুদও আগে মন্ত্রী ছিলেন। নওফেলও খুব যোগ্য। সামগ্রিক ভাবে দেশবাসী নতুন মন্ত্রী সভা নিয়ে খুশি হয়েছে। চট্টগ্রামের নতুন মন্ত্রীরা আমাদের দলের প্রত্যাশা যেমন পূরণ করতে পারবেন, তেমনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে চলমান মেগা প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নে এরা ভূমিকা রাখতে পারবেন।

মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, উন্নয়ন করতে হলে বেশি মন্ত্রীর প্রয়োজন হয় না। বিএনপির আমলে চট্টগ্রামে অনেক মন্ত্রী ছিলেন-তারা চট্টগ্রামে কোনো উন্নয়ন করেননি। অথচ গত ১০ বছরে এই চট্টগ্রামে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের মেগা প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে দক্ষিণের সাথে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দোহাজারী-কঙবাজার রেল লাইন, কালুরঘাট সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল নির্মাণ, ইকোনোমিক জোনসহ দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই তিন মন্ত্রী আরো ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ তিনজনই ভালো হয়েছে উল্লেখ করে মোছলেম উদ্দিন আহমদ তার প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন, চট্টগ্রামবাসী খুবই খুশি হয়েছেন।

নতুন মন্ত্রী সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামবাসীকে সম্মানিত করেছেন বলে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সংসদ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত আলহাজ্ব নুরুল আলম চৌধুরী তার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে অন্তর থেকে ভালোবাসেন বলেই চট্টগ্রামে স্বাধীনতার পরবর্তী গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি সব সময় চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দেন। নতুন মন্ত্রী সভায়ও তিনি তার প্রমাণ দিয়েছেন। ভূমিমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা উপ মন্ত্রী দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। সততা ও দক্ষতার কারণে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী করেছেন। ড. হাছান মাহমুদ আগে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। এখন তথ্য মন্ত্রী হয়েছেন। আমার সহযোদ্ধা চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে শিক্ষা উপমন্ত্রী করেছেন।

এই তিনজন প্রত্যেকেই সৎ ও যোগ্য নেতা। তাদের গতিশীল নেতৃত্বে চট্টগ্রামে চলমান মেগা প্রকল্প গুলো দ্রুত বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম অনেক এগিয়ে যাবে। তারা প্রত্যেকেই সৎ-যোগ্য ও মেধাবী উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের উপর আস্থা রেখেছেন। তারা নিজ নিজ যোগ্যতায় প্রধানমন্ত্রীর আস্থার জায়গায় সম্মান দেখিয়ে দেশের জন্য সর্বোপরি চট্টগ্রামের জন্য কাজ করবেন বলে আমি মনে করি।

নতুন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা চট্টগ্রামের চলমান মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে দ্রুত জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবেন বলে প্রত্যাশা নগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের। তিনি গতকাল মন্ত্রী পরিষদের শপথ গ্রহনের পর দৈনিক আজাদীকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ড. হাছান মাহমুদ আগেও মন্ত্রী ছিলেন, জাবেদ সাহেবও (সাইফুজ্জামান চৌধুরী) আগে মন্ত্রী ছিলেন। নওফেল (ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী) প্রথম মন্ত্রী সভায় স্থান পেলেও তার মেধা ও দক্ষতা অনেক। আমরা মনে করি তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের কর্মদক্ষতা ও আর্দশে মন-প্রাণ দিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করবেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম-দোহাজারী থেকে কক্মবাজার ঘুমধুম রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, মীরসরাইয়ে দেশের বৃহৎ ইকোনোমিক জোন, আনোয়ারায় অর্থনৈতিক অঞ্চল, বে-টার্মিনাল, বিশেষ করে আউটার সার্কুলার রোড এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল রেল লাইন দ্রুত বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। আমি মনে করি আউটার রিং রোড ফৌজদারহাট থেকে পরবর্তীতে ফেনীর হাইওয়ে পর্যন্ত নিয়ে গেলে একটা বিশাল পরির্বতন আসবে। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে শিক্ষা উপমন্ত্রী করা হয়েছে। চট্টগ্রামে স্বাধীনতার পর নতুন কোন সরকারি স্কুল হয়নি। নওফেল এই ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারবেন দক্ষতার সাথে।

Logo-orginal