rtm
প্রকাশ: ২০১৯-০১-০৬ ১৭:৪৭:৩২ || আপডেট: ২০১৯-০১-০৬ ১৭:৫২:২০
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ দ্বিতীয় মেয়াদে যোগদান করেছেন। এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দ্বিতীয় মেয়াদে আরও চার বছরের জন্য তাঁকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি সফলতার সাথে দীর্ঘ চার বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ (আহসান সাইয়েদ) ১৯৬৩ সালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ রামপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এবং একই বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশে যারা হাদিস শাস্ত্র গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন তাঁদের মধ্যে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ অন্যতম। তিনি বাংলা, ইংরেজি, আরবি, উর্দু ও ফারসি ভাষায় সমানভাবে পারদর্শি। মিশরীয় লেখক নোবেল বিজয়ী নাজীব মাহফুজের ছোটগল্প ও সেরা আরব নাট্যকার তওফীক আল-হাকীমের নাটকের বাংলা অনুবাদ গ্রন্থ তাকে এনে দিয়েছে বিরল খ্যাতি। তাঁর মৌলিক গল্পগ্রন্থ ‘মাঝরাতে বৃষ্টি’ (গল্পগ্রন্থ), ‘গৃহবধূ পিঞ্জরের পাখি’ (রম্যরচনা), ‘আপোফিসের স্বপ্ন’ (গল্পগ্রন্থ) ভাষা ও রচনাশৈলী সাহিত্যসমাজে বেশ আলোড়ণ তুলেছে। ‘তিতাসের অট্টহাসি’ কিশোরদের জন্য তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি। এবারের অমর একুশে বই মেলায় তার রচিত ‘হাইজ্যাকারের পাল্লায়’ শিশুতোষ গল্প গ্রন্থটি সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। নাট্যকার হিসেবেও তিনি শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তাঁর অনেকগুলো নাটক মঞ্চ¯’ হয়েছে। কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস ও গবেষণাসহ বহু বিচিত্র বিষয়ে এ যাবৎ প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৪টি। এছাড়াও পত্র পত্রিকায় শিক্ষা সংস্কৃতি সম্পর্কে তার অসংখ্য প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি দেশের সকল মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী যেন লেখাপড়া ও গবেষণায় মনোনিবেশ করে নিজেদেরকে প্রকৃত আলিম ও জ্ঞানী হিসাবে গড়ে তুলতে পারে সে জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।