, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ভাইয়ের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছোট বোনকে হত্যা

প্রকাশ: ২০১৯-০১-২৬ ১৭:৫১:৫০ || আপডেট: ২০১৯-০১-২৬ ১৭:৫১:৫০

Spread the love

নড়াইলঃ এর আগে ফাতিমার বড় বোন হিলা খাতুনকেও কুপ্রস্তাব দেন বড় ভাই রিপন।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার আপন বড় ভাইয়ের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফাতিমা খানম (১৯) নামের এক কলেজছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার বড় ভাই রিপন মোল্যাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নড়াগাতি থানার কালিনগর গ্রাম থেকে ফাতিমা নিখোঁজ হন। পরে রাতে পার্শ্ববর্তী নলীয়া নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ফাতিমা কালিনগর গ্রামের মোকলেস মোল্যার মেয়ে ও কালিয়া সরকারি শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফাতিমা শুক্রবার দুপুরে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নলীয়া নদী থেকে তার লাশ স্থানীয়রা উদ্ধার করে। তার ভাই রিপন মোল্যার আচরণ সন্দেহজনক হলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। 

আরও জানা যায়, ফাতিমাকে বড় ভাই রিপন দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। গতকাল দুপুরে ফাতিমা বাড়ির পাশে নলীয়া নদীর পাড়ে বসে জামা-কাপড় পরিষ্কার করাছিলেন।  এ সময় পেছন থেকে রিপন লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এতে আহত হন ফাতিমা। তখন তিনি নদীর পানিতে গড়িয়ে পড়লে রিপন বোনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। 

এলাকাবাসী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর আগে ফাতিমার বড় বোন হিলা খাতুনকেও কুপ্রস্তাব দেন বড় ভাই রিপন। তিনি কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পাচ-ছয় বছর আগে তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাড়ির পাশে একটি আমগাছে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছিলেন রিপন। রিপন এর আগে দুই বিয়ে করলেও প্রত্যেক স্ত্রী তার আচরণের কারণে চলে গেছে। 

এদিকে নড়াগাতি থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার রিপন পারিবারিক কলহের জের ও কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বোনকে পিটিয়ে ও পানিতে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

নড়াগাতি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রজব আলী জানান, ফাতিমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার ভাই রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোকসেদ মোল্যা বাদি হয়ে নড়াগাতি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সুত্রঃ কালের কন্ঠ।

Logo-orginal