admin
প্রকাশ: ২০১৯-০১-৩১ ১৯:৩০:০১ || আপডেট: ২০১৯-০১-৩১ ১৯:৩০:০১
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন নির্যাতিত আরও ২২ নারীকর্মী। এ নিয়ে চলতি মাসেই দেশে এসেছেন দেড়শ’ নারী। আর গত বছর দেশে এসেছিলেন দেড় সহস্রাধিক নির্যাতিত নারী।
বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে নারীকর্মীদের বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যখন তারা বেরিয়ে আসেন তখন চোখেমুখে রাজ্যের ক্লান্তি আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কা।
একজন নারী শ্রমিক জানান, আমাদের মতো অসংখ্য নারী অ্যাম্বাসিতে বসে কাঁদছে। কারণে অকারণে মারধর করত, লাঠি দিয়ে মারত, ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দিত গায়ে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে আর ব্র্যাকের সহায়তার এই নারীদের দেশে আনা হয়।
ভুক্তভোগীরা এমন হয়রানির বিচার চেয়েছেন। অনেক স্বপ্ন আর বুকভরা আশা নিয়ে গৃহকর্মীর কাজ পেয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন কুমিল্লার আলেয়া বেগম। তাকে কাজ দেয়া হয়েছিল মক্কার একটি বাসায়। আলেয়ার ওপর চলত বাসার মালিকের অমানুষিক নির্যাতন। দুই মাস নির্যাতন সহ্য করে কাজ করেছেন সেখানে। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় সেখানকার সেইফ হোমে। দেয়া হয়নি বেতনের একটি টাকাও। বুধবার রাতে তিনি দেশে ফেরেন রিক্ত হাতে। সঙ্গে দীর্ঘ নির্যাতন আর নিপীড়নের স্মৃতি।
ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা আইনি সহায়তা দেবে এসব নারীকে। প্রবাসী শ্রমিকের টাকাতেই প্রতি বছর ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বাংলাদেশের রেমিটেন্স। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন আর কিছু না হোক অন্তত এ কারণেই এসব মানুষের প্রতি নজর দেয়া উচিত সব পক্ষকেই। সুত্রঃ যুগান্তর ।