, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

নেতা-কর্মীর উদ্দেশ্য জামায়াত যে বার্তা দিল

প্রকাশ: ২০১৯-০২-১৮ ১২:৩৫:৪৪ || আপডেট: ২০১৯-০২-১৮ ১২:৩৫:৪৪

Spread the love

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রিয় নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে দলটির নেতা-কর্মীর উদ্দেশ্য দুই পৃষ্টার নির্দেশনা দিয়েছে।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং জামায়াত বিলুপ্তির প্রশ্নে গত শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বিশিষ্ট আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক পদত্যাগ করেছেন।

ইতিমধ্যেই জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিস্কৃত হলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু। মঞ্জু ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাড়াও ছিলেন জামায়াতের উদীয়মান তরুণ নেতা।

এদিকে দলের সব সিদ্ধান্ত আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, অঞ্চল দায়িত্বশীল, জেলা ও মহানগর আমীরদের মাধ্যমে জানানো হবে। এর বাইরে কারও ডাকে সাড়া না দিতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

এরিমধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক অধিবেশনে নেওয়া দুই পৃষ্ঠার নির্দেশনার একটি সতর্কবার্তা দলটির শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠানো হয়।

সতর্কবার্তা বলা হয়েছে, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারির পদ থেকে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগ ও শিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুর বহিষ্কারের পর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা পাঠায় জামায়াত। জামায়াতের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, সংগঠনের সব সিদ্ধান্ত জামায়াতের আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, অঞ্চল দায়িত্বশীল এবং জেলা ও মহানগর আমীরদের মাধ্যমে যথা সময়ে সরাসরি জানানো হবে। এর বাইরে কারও আবেদন, নিবেদন ও অনুরোধে কোনও জনশক্তি (নেতাকর্মী) যাতে সাড়া না দেয় সে ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জন্য যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে- আবদুর রাজ্জাক দল ছাড়লেও তার অতীতের সব অবদানকে সম্মানের চোখে দেখে জামায়াত। তাকে পদত্যাগ না করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। পদত্যাগ করলেও এ খবর গণমাধ্যমে না দিতেও অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে তিনি এসব অনুরোধ উপেক্ষা করেছেন, বিষয়টি জামায়াতের জন্য দুঃখজনক। তারপরও আবদুর রাজ্জাক সম্পর্কে বিরূপ কোনো মন্তব্য না করতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জামায়াতের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মজিবুর রহমান মঞ্জু কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যে দলের বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছিলেন। তাকে সতর্ক করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার প্রতি দলের এই উদারতার কোনো মূল্য দেননি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নিজ দায়িত্বে একটি দল গঠনের চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয় জামায়াতের নির্দেশনায়।

Logo-orginal