, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

সৌদির সঙ্গে আলোচিত প্রতিরক্ষা বিষয়ে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২০১৯-০২-১৫ ১৩:৫৯:১৩ || আপডেট: ২০১৯-০২-১৫ ১৩:৫৯:১৩

Spread the love

সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ। রিয়াদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার সমঝোতা স্মারকটি সই হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে এমওইউতে সই করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান। সৌদি আরবের পক্ষে সই করেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ লেফটেনেন্ট জেনারেল মুতলাক বিন সালিম আল উজাইমিয়া। এমওইউ সইয়ের সময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান ড. নজরুল ইসলাম ও ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে এবং পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে প্রতিরক্ষা বিষয়ক এমওইউ সই হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্নয়ন এবং শক্তিশালী করার লক্ষে এই স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এমওইউটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এমওইউ’র আওতায় সৌদি আরব ও বাংলাদেশ সামরিক প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও শিক্ষা, দক্ষতা বিনিময়, সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, প্রতিরক্ষা শিল্প, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পরিদর্শন, সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণে পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। এছাড়াও সহযোগিতার আওতায় থাকবে সামরিক চিকিৎসা ও গবেষণা, ক্রীড়া, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সামরিক সদস্যদের সফর বিনিময়, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও জলদস্যুরোধের কার্যক্রম। সৌদি আরব ও বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করতে এবং এমওইউ’র উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।’

এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি রিয়াদে সৌদি আরবের যৌথ বাহিনীর প্রধান ফায়াদ আল রুয়ায়লির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব ও ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকায় মাইন অপসারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের বিষয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তিও প্রস্তুত করা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দু’টি ব্যাটালিয়নে প্রায় ১৮০০ সদস্য মাইন অপসারণ কাজে নিয়োজিত হবে; যা সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’

ইয়েমেনের পদত্যাগী ও পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে ২০১৫ সালের মার্চ থেকে দরিদ্র ওই দেশটিতে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব। এতে সার্বিক সমর্থন ও সহযোগিতা দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি আঞ্চলিক দেশ এবং আমেরিকার মিত্র দেশগুলো। সৌদি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি ইয়েমেনি নিহত হয়েছে এবং ওই দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। উৎসঃ আরটিএনএন ।

Logo-orginal