, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ক্ষমা চাইলেও জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার চলবে: কাদের

প্রকাশ: ২০১৯-০২-১৬ ১৭:৫০:২৬ || আপডেট: ২০১৯-০২-১৬ ১৭:৫৩:১৭

Spread the love

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষমা চাইলেও জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে যে বিচার চলছে, সেটা বন্ধ হবে না।

তবে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামের ভূমিকার কারণে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টিকে রাজনৈতিক কৌশলের অংশ বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। যদিও এ বিষয়ে জামায়াতের দিক থেকে কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়া হয় নি।

আজ (শনিবার) আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর ক্ষমা চাওয়ার বিষয় কেন এল, সেটাও কোনও কৌশল কি না, ভেবে দেখতে হবে।

জামায়াত নতুন নাম নিয়ে রাজনীতিতে এলে আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের স্বাগত জানানো হবে কিনা- এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ কোনও সিদ্ধান্তই এখনও নেয়নি বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী বলেন, তাদের আদর্শটা ঠিক রেখে, নতুন নামে আসলেও পার্থক্যটা কোথায়? নতুন বোতলে পুরাতন মদ যদি আসে, তাহলে জিনিস তো একই থাকছে।।

উল্লেখ্য, জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক শুক্রবার সকালে যুক্তরাজ্য থেকে দলটির আমির মকবুল আহমাদের কাছে পদত্যাগ পাঠান। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালে দেশ ত্যাগ করে যুক্তরাজ্য বসবাস করছেন।

আবদুর রাজ্জাক তার চিঠিতে দাবি করেছেন, তিনি ধারাবাহিকভাবে জামায়াতকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৬ সালেই তিনি এ ক্ষমা চাওয়া ও বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে নতুন আঙ্গিকে রাজনীতি শুরুর পরামর্শ দিয়েছিলেন। সবশেষ একাদশ নির্বাচনের পর জামায়াতের ভবিষ্যত করণীয় সম্পর্কে তার মতামত ছিল- দল বিলুপ্ত করে দেওয়া উচিত।

ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেছেন,”তার পদত্যাগে আমরা ব্যথিত ও মর্মাহত। আমরা আশা করি তার সাথে আমাদের মহব্বতের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।

উৎসঃ পার্সটুডে।

Logo-orginal