, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

চীনকে উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে সতর্ক করল তুরস্ক

প্রকাশ: ২০১৯-০২-১০ ২৩:৩১:৪১ || আপডেট: ২০১৯-০২-১০ ২৩:৩১:৪১

Spread the love

চীনকে উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে সতর্ক করেছে তুরস্ক। উইঘুর মুসলিমদের প্রতি সম্মান দেখাতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আঙ্কারা।

শনিবার একটি বিবৃতি তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকসয় বলেছেন, চীন উইঘুর মুসলিমদের প্রতি যে আচরণ করছে তা মানবতার জন্য অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।

তিনি বলেন, বন্দি শিবিরে কমপক্ষে ১১ লাখ উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষকে খেয়ালখুশি মতো আটকে রেখেছে চীন। এটা আর কোনো গোপন কথা নয়। চীনের পশ্চিমাঞ্চলে উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর যে পর্যায়ক্রমিক ‘অ্যাসিমিলেশন’ ও নির্যাতন চলছে তার উত্তাপ তুরস্কের মুসলিম জনগোষ্ঠীও পাচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান, ওই বন্দিশিবিরগুলো বন্ধ করে দিয়ে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখান।

চীনে ১১ লাখ উইঘুর মুসলিম বন্দিশিবিরে
একেবারে চোখ এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়। কয়েক বিঘা কৃষিজমির ওপর বিশাল ক্যাম্পাস। একটু নজর বুলালেই যা সবার চোখের সামনে চলে আসে। বলছি, চীনের লোপু এক নম্বর কাউন্টি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কথা।

মূল ভবন কাঠামোর বাইরের চারপাশ ঘিরে রেখেছে কাঁটাতারযুক্ত সাদা পাথরের দেয়াল। পয়েন্টে পয়েন্টে নজরদারি ক্যামেরা। বেশ কয়েকজন প্রহরী লম্বা লাঠি হাতে পাহারা দিচ্ছেন। রয়েছে টহলরত পুলিশের গাড়ি।

আশপাশের বেশিরভাগ গ্রামের চেয়েও বড় এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার বর্গমিটার হবে। পাশঘেঁষে চলে গেছে মহাসড়ক। ভবনজুড়ে বড় ব্যানার সাঁটানো। যাতে লেখা- ‘নৃতাত্ত্বিক ঐক্যের’ রক্ষাকবচ।

সড়কের পাশে আধাডজন লোক দাঁড়ানো। সবার নজর ভবনের দিকে। দেখতে কারাগারের মতো স্থাপনাটি কিসের কিংবা এখানে তারা কেন-ই-বা অপেক্ষা করছেন- তা নিয়ে কথা বলতে নারাজ সবাই।

অস্ফুট স্বরে এক বৃদ্ধা বললেন- আমরা জানি না। ভাইকে দেখতে এসেছেন আরেকজন। কিন্তু এই তথ্যটুকুর বাইরে একটি কথাও তার মুখ ফসকে বের হলো না।

দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে আসা এক তরুণী বললেন- বাবাকে দেখতে এসেছেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে তার মা মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দেন তাকে।

তারা কথা বলতে অনিচ্ছুক। মুখ থেকে টু শব্দটিও বের করতে রাজি না। কারণ এটি সচরাচর কোনো কারাগার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস না।

এটি এমন এক ক্যাম্প, যেখানে বিপুলসংখ্যক মুসলিম সংখ্যালঘু অন্তরীণ রয়েছেন। মূলত ইচ্ছার বিরুদ্ধে উইঘুরদের এ ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। মাসের পর মাস কিংবা কয়েক বছর ধরে এখান থেকে তারা বের হতে পারছেন না। ভোকেশনাল প্রশিক্ষণের আড়ালে বিনাবিচারে বন্দি রাখা হয়েছে তাদের।

Logo-orginal