, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Avatar rtm

পালালো ভুয়া মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট, আটক ২ সহযোগী

প্রকাশ: ২০১৯-০২-২১ ২০:৫৩:০৩ || আপডেট: ২০১৯-০২-২১ ২০:৫৩:০৩

Spread the love

চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে জনতার হাতে আটকা পড়েছে কথিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটের দু’সহযোগী। এ ঘটনায় পালিয়ে যেতে সমক্ষম হন কথিত ওই ম্যাজিস্ট্রেট।

বুধবার রাতে নগরীর আকবর শাহ থানার কর্নেলহাট এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নিজেরাই জনতার হাতে আটকা পড়েন।

সিএমপি’র আকবরশাহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

আটকরা হলেন- মিজান উল্লাহ সমরকন্দি ও ফারদিন আহমেদ (২৪)।

ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, কথিত আলোচিত কণ্ঠ পত্রিকার আলোচিত সম্পাদক মিজান উল্লাহ সমরকন্দি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বীকৃতি’র নির্বাহী পরিচালক পারভীন আকতারসহ এক সংঘবদ্ধ চক্র বুধবার রাতে কর্নেলহাট এলাকায় হারবাল প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালায়। ওই সময় জনতা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্নেলহাট এলাকায় একটি হারবাল প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কথিত ম্যাজিস্ট্রেট পারভীন আকতার এবং তার সহযোগী মিজান উল্লাহ সমরকন্দি ও ফারদিন আহমেদ। ওই সময় কথিত ম্যাজিস্ট্রেট পারভীন আকতার নিচে প্রাইভেটকারে বসা ছিলেন। মিজান ও ফারদিন প্রতিষ্ঠানটিতে ঢুকে অভিযানের কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তারা ৫ হাজার টাকা দেন। এতে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। আরো টাকার জন্য চাপ দেয় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদেরকে। ওই সময় মিজান ও ফারদিন তাদের কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে যায়। বিষয়টি দেখে এগিয়ে আসেন আশপাশের মানুষ। এ সময় তারা মিজান ও ফারদিনকে ধরে ফেলেছে আঁচ করতে পেরে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় কথিত ম্যাজিস্ট্রেট পারভীন।

আটক মিজান উল্লাহ সমরকন্দির বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় এলাকায়। আর ফারদিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর এলাকায়।

ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে এর আগেও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করতে গিয়ে তারা ধরা পড়েছেন। ছাড়া পেয়ে ফের একই প্রতারণা করে যাচ্ছেন তারা।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানান, এর আগে গত বছর ৬ মে জেলার রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর ইউনিয়নের রাণীরহাট বাজারে প্রাইভেটকার নিয়ে যান মিজান, পারভীন ও তাদের এক সহযোগী। তারা নিজেদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের হাতে আটকা পড়ে লাঞ্ছিত হন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।

Logo-orginal