, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-০৯ ২১:৪৬:৪৭ || আপডেট: ২০১৯-০৩-০৯ ২১:৪৬:৪৭

Spread the love

ক্রীড়া ডেস্কঃ দীর্ঘ পাঁচ মাস পরে কম্বোডিয়া ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ জাতীয় দল। এই পাঁচ মাসে দেশের ঘরোয়া ফুটবলে ব্যস্ত থাকা ফুটবলারদের নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল কম্বোডিয়া।

লম্বা বিরতির পর মাঠে নেমে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দলের একমাত্র গোলটি করেন বদলি হিসেবে নামা রবিউল হাসান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ফেরাটাও হলো দুর্দান্ত। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত থাকার রেকর্ডও ধরে রাখলো বাংলাদেশ।

বছরের প্রথম ম্যাচ হলেও এই ম্যাচের উপর নির্ভর করছিল দেশের অনেক হিসেব-নিকেশ। এর আগে সবশেষ গেল অক্টোবরে প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছিল জামাল ভূঁইয়ারা। এরপর কেটে গেছে ৫ মাস। পাঁচ মাসে ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে মেতে থাকা ফুটবলারদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল স্বাগতিক কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি।

ফিফা প্রীতি ম্যাচে শনিবার (৯ মার্চ) স্বাগতিক কম্বোডিয়ার চোখে চোখ রেখে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। নম পেনের জাতীয় অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৫টায়। ম্যাচের প্রমার্ধের প্রথম ২০ মিনিট কৃত্রিম ঘাসের উপর বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নিজেদের খুঁজে পেতে সময় নেন।

এরপরই দারুণ সব আক্রমণের পসরা সাজায় আতিথ্য নেওয়া বাংলাদেশ। ম্যাচের ৩৪ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল কম্বোডিয়া। বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন কম্বোডিয়ার ফরোয়ার্ড। তবে, গোলবারের খানিক উপর দিয়ে বল বাইরে চলে যায়।

৩৮ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশ পর পর তিনবার আক্রমণ করে। লম্বা থ্রো থেকে বল পেলেও তপু বর্মন ঠিকঠাক হেড করতে ব্যর্থ হন। স্বাগতিক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল আবারো থ্রোয়িং পজিশনের ঠিকানা পায়। আবারো লম্বা থ্রো বাংলাদেশের, এবারো জালের ঠিকানায় বল পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ। পরের মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে শট নেওয়ার আগেই বল ক্লিয়ার করে কম্বোডিয়া। ফিরতি বলে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বিপলু শট নিয়েছিলেন। কম্বোডিয়ার দলপতির মুখে লেগে বল বাইরে চলে যায়।

যোগ করা প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আবারো বাংলাদেশের আক্রমণ বলে দিচ্ছিলো আতিথ্য নিলেও শেষ অবধি লড়াই করে যাবে। বিরতির আগে গোলের দেখা পায়নি দুই দল।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে কম্বোডিয়া। দেশটির র‌্যাংকিং ১৭২, আর বাংলাদেশের ১৯২। তবে, আগের রেকর্ড বাংলাদেশের পক্ষে। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচের দুটিতে বাংলাদেশের জয়, বাকিটিতে ড্র। মুখোমুখি চতুর্থ লড়াইয়েও না হারার প্রত্যয় ছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীদের।

বিরতির পর ম্যাচের ৫০তম মিনিটে মনিত মিয়া গোলবারের বামদিক থেকে দারুণ ক্রস ঠেলে দেন। কিন্তু, কোনো সতীর্থ বলের নাগাল পাননি। একটা টোকাতেই কম্বোডিয়ার জালে বল জড়াতে পারেনি কেউ। ৫৫ মিনিটের মাথায় তপু বর্মনের দূরপাল্লার জোরালো শট ঝাপিয়ে পড়ে রুখে দেন কম্বোডিয়ার গোলরক্ষক। ৫৮ মিনিটে কম্বোডিয়ার আক্রমণে বাংলাদেশের ডি-বক্সে জটলা বাধে। ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বলও বেরিয়ে যায়। কিন্তু আতিথ্য নেওয়া বাংলাদেশের কপাল ভালো বলটি গোলরক্ষক সোহেল রানার গ্লাভসে না জমলেও জালের বাইরে চলে যায়।

মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে বিপলু আহমেদকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান রবিউল হাসানকে। ৭৭ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে কেউ ফিনিশিং টাচ দিতে না পারলে গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এ সময় ডাগআউটে বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। ৮৩ মিনিটের মাথায় লিড নেয় বাংলাদেশ। লাল-সবুজদের এগিয়ে নিতে গোল করেন বদলি খেলোয়াড় রবিউল। ডানদিক থেকে সুফিলের দুর্দান্ত ক্রসে বলে আলতো টোকায় কম্বোডিয়ার জালে জড়িয়ে দেন রবিউল (১-০)।

ম্যাচের বাকি সময়ে স্বাগতিক কম্বোডিয়া গোল শোধ করতে পারেনি। ফলে এই স্কোরেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। মুখোমুখি চতুর্থ দেখায় তৃতীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এর আগে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ গোলে জিতেছিল। তার আগে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল কম্বোডিয়া। আর ২০০৬ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হারিয়েছিল কম্বোডিয়াকে।
উৎসঃ সারাবাংলা।

Logo-orginal