, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

জুমার দিনে সুরা কাহাফের এত গুরুত্ব কেন ?

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-০৮ ০৯:০২:২৬ || আপডেট: ২০১৯-০৩-০৮ ০৯:০২:২৬

Spread the love

‘সূরা কাহাফ’ পবিত্র কোরআনের ১৮ নম্বর সূরা । এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এর আয়াত সংখ্যা ১১০। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এ পুর্ণাঙ্গ সূরাটি এক সঙ্গে নাজিল হয়েছে এবং এর সঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতা দুনিয়াতে আগমন করেছেন।

সুরা কাহাফ বিশেষ তাৎপর্য ও বৈশিষ্টমন্ডিত সুরা। এই সুরায় হযরত মূসা ও খিজির আ. এর মাঝে সংঘটিত ঘটনা এবং ইয়াজুয মাজুয ও বাদশা জুলকারনাইনের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। রুহ সম্পর্কিত ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গও বর্ণিত হয়েছে।

আসহাবে কাহাফের বিখ্যাত সাত যুবকের ঘটনা এই সুরায় বর্ণিত হওয়াায় এই সুরার নামকরণ করা হয়েছে ‘সূরা কাহাফ’।

হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত করে সে দাজ্জালের ফিৎনা হতে নিরাপদ থাকবে। তাঁর থেকে আরেকটি রেওয়ায়েতে শেষ ১০ আয়াতের ব্যাপারে উল্লিখিত ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে। (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ ও মুসনাদে আহমদ)

সুতরাং প্রথম বা শেষ ১০ আয়াত অথবা উভয় দিক দিয়ে মোট ২০ আয়াত যে মুখস` করবে সেও উল্লিখিত ফযিলতের অন্তর্ভুক্ত হবে।

হজরত সাহাল ইবনে মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলো পাঠ করে তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায়। আর যে পূর্ণ সূরা তিলাওয়াত করে তার জন্য জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়। (মুসনাদে আহমদ)

জুমার দিনে এই সুরা তেলাওয়াতেরে রয়েছে বিশেষ ফযিলত। হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত নূর হবে।

হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেৎনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও মুক্ত থাকবে। অন্য রেওয়ায়েতে আছে এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।

তবে উল্লিখিত গুনাহ মাফ হওয়ার দ্বারা সগিরা গুনাহ উদ্দেশ্য। কারণ ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্য যে, কবিরা গুনাহ তওবাহ করা ছাড়া মাফ হয় না।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নিয়মিত আমল করার তাৗফিক দান করুন। #সংগৃহীত, আওয়ার ইসলাম থেকে।

Logo-orginal