, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Avatar rtm

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ: দক্ষিণ চট্টগ্রামে ভোট আজ

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-২৪ ০৬:১২:১৯ || আপডেট: ২০১৯-০৩-২৪ ০৬:১২:১৯

Spread the love

আজ রবিবার উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। গতকাল শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভোটগ্রহণ সামগ্রী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন কর্মকর্তারা। র্যাব, বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্স, ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছেন। বিরোধীদলের অংশগ্রহণ না থাকায় উপজেলা নির্বাচন একতরফা নির্বাচনে পরিণত হয়। একতরফা নির্বাচন হলেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। নিজেদের মধ্যে হলেও নির্বাচনী এলাকায় ভোটের আমেজ পরিলক্ষিত হয়। কিছুটা উৎসব থাকলেও রয়েছে শঙ্কাও।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া ও আনোয়ারা-ছয় উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আনোয়ারা উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানেরা বিনাভোটে নির্বাচিত হয়ে যান।

গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আদেশে লোহাগাড়া উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। আনোয়ারা ও লোহাগাড়া উপজেলায় ভোট হচ্ছে না। অন্য চার উপজেলা বোয়ালখালী, পটিয়া, বাঁশখালী ও চন্দনাইশে আজ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

চন্দনাইশ ও বাঁশখালীতে ফাঁকা গুলি বর্ষণ এবং বোয়ালখালীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বোয়ালখালীতে ভোটের আগেরদিন (গতকাল সন্ধ্যায়) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও প্রচার-প্রচারণায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে ছিল উত্তাপ-উত্তেজনা। জেলা- উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও কয়েক স্থানে সাংসদদের পরোক্ষ ইন্ধনে বিদ্রোহী প্রার্থীরা শক্ত অবস্থান নেন। এসব ঘটনায় ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।

বোয়ালখালী : বোয়ালখালীতে উৎসব আর শঙ্কার মধ্যে দিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রচার-প্রচারণার শুরুতে উৎসবের আমেজ না থাকলেও শেষ পর্যন্ত উৎসবে পরিণত হয়েছে। তবে ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে কিনা তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দীক জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রার্থীদের জনগণের রায়কেই মেনে নিতে হবে। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ১২ জন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ নুরুল আলম রাজা (নৌকা), আ.লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন (আনারস), জাতীয় পার্টির দিদারুল আলম ফজু (লাঙ্গল), মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম (দোয়াত-কলম), কেন্দ্রীয় জাসদের সহ-সভাপতি ছৈয়দুল আলম (মোটর সাইকেল) প্রতীকে নিয়ে লড়ছেন। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এস এম সেলিম (উড়োজাহাজ), সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য রিদওয়ানুল হক টিপু (চশমা), উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিন (তালা), সমাজসেবক এস এম নুরুল কবির (করিম) (টিউবওয়েল) প্রতীকে লড়ছেন। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শাহিদা আকতার শেফু (ফুটবল), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম আরা বেগম (প্রজাপতি), উপজেলা মহিলা আ.লীগের সহ-সভাপতি সুপর্ণা ভঞ্জ (কলস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটারদের মাঝে ভোট নিয়ে অনেকটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি ভোটে না থাকলেও চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে দলের অনেক নেতাকর্মী মাঠে রয়েছেন। অন্যদিকে প্রার্থীদের দুই-তৃতীয়াংশ আওয়ামী লীগ ঘরানার হওয়ায় ভোট নিয়ে দলের মধ্যে বহুধা বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ সকল সরঞ্জাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিকল্প নাই। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই বিষয়ে কড়া নজরজারি রাখা হবে।

বাঁশখালী : ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সামগ্রী নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ নির্বাচনী এলাকায় টহল দিচ্ছেন। বাঁশখালীতে অতীতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিএনপি ও জামায়াত। এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী দায়িত্ব পাচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সব প্রার্থীই আওয়ামী লীগ ঘরানার। চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম ও কাপ পিরিচ প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা-সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী নুর হোসেন। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুল গফুর (টিউবওয়েল), শাহাদত রশীদ চৌধুরী (তালা), মো. সোলাইমান (মাইক), এমরানুল হক এমরান (উড়োজাহাজ)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রেহেনা আক্তার কাজমী (ফুটবল), নূরীমন আক্তার নূরী (প্রজাপতি)। নির্বাচনে ৩ লাখ ৩ হাজার ১৩০ জন ভোটার রয়েছেন। ভোটগ্রহণে ১১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৭৪১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১৪৮২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব ৫০ জন, সশস্ত্র আনসার ১ প্লাটুন, পিসি ২৪০ জন, ভোটগ্রহণে প্রতি কেন্দ্রে একজন অফিসারের নেতৃত্বে তিনজন করে পুলিশ। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এছাড়াও ১ জন পিসি ও ১ জন এপিসি আনসার বাহিনী, ১০ জন আনসার। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ টিম। প্রতি ইউনিয়নে একজন ওসির নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স, ৩ কেন্দ্র মিলে ১ জন ভ্রাম্যমাণ পুলিশ পরিদর্শক টিম। বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ১১০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ দায়িত্বের পাশাপাশি টহল পুলিশ থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রেগুলো থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ ও টহল দল। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

চন্দনাইশ : ২টি পৌরসভা, ৮টি ইউনিয়নে এক লাখ ৬৩ হাজার ২০৫ জন ভোটার ভোটারাধিকার প্রয়োগ করবেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবির ৮০ জন সদস্য, ৪ শতাধিক পুলিশ, ৮৮৫ জন আনসার দায়িত্ব পালন করবেন। ৬৮টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে এম নাজিম উদ্দীন (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী (দোয়াত-কলম)। গত নির্বাচনে জব্বার চৌধুরী এলডিপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের যোগদান করেন তিনি। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মূলত ভোটযুদ্ধ আ.লীগের সাথে আ.লীগের। থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী বলেন, ৬৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৪ টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ১০টি গুরুত্বপূর্ণ, ১৪টি সাধারণ। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৩ জন আনসার-ভিডিপি (পুরুষ-মহিলা), ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে ২-৪ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। ২৫টি স্ট্রাইকিং টিম, বিজিবি ৪ প্লাটুনে ৮০ জন সদস্য। ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকবে টহল টিম। সরকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা বলেন, ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দীন বাপ্পি (তালা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী (মোমবাতি)। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ঘরানার প্রার্থী বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ্নাজ বেগম (হাঁস), সাবেক মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান খালেদা আকতার চৌধুরী (পদ্মফুল), এডভোকেট কামেলা খানম (প্রজাপতি), সঞ্চিতা বড়–য়া (কলস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পটিয়া : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হাসান জানান, ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উপজেলার ১১৩টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালেট পেপার, ব্যালট বক্সসহ ভোটগ্রহণ সামগ্রী পৌঁছে গেছে। প্রতি ভোটকেন্দ্রে ২ জন পুলিশ ও ১২ আনসার সদস্যসহ ৪টি অস্ত্র থাকবে। উপজেলা ১৭ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৩৫টি মোবাইল টিম নিয়োজিত থাকবে। ৯ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি ফোর্সে ৮ জন পুলিশসহ ১ জন অফিসার, ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্যসহ প্রতি প্লাটুনে ১৬ জন বিজিবি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ২ প্লাটুন র্যাব সদস্য থাকবে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সহ- সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম জলি (আনারস), যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন (দোয়াত-কলম)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক তিমির বরণ চৌধুরী (উড়োজাহাজ), উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু (বই) ও মো. সাহাব উদ্দিন (তালা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাজেদা বেগম শিরু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

Logo-orginal