admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৩-২৩ ১০:৩০:০২ || আপডেট: ২০১৯-০৩-২৩ ১০:৩০:০২
অনন্য নজির স্থাপন করেছে নিউজিল্যান্ড। গত সপ্তাহের শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে কমপক্ষে ৫০ জন মুসল্লিকে হত্যার ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সব শ্রেণি পেশার মানুষ নিন্দা জানিয়ে সংহতি প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার সারাদেশে ২ মিনিটের নীরবতা পালনের পর আজ শনিবার ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মার্চ ফর লাভ’ র্যালি।
এতে অংশ নিয়েছেন কমপক্ষে ৩০০০ মানুষ। ক্রাইস্টচার্চে হত্যাকা-ের শিকার ৫০ মুসল্লির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মার্চ ফর র্যালি বা ভালবাসার পদযাত্রা বের হয় আজ শনিবার সকালে। সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্টের উদ্দেশে এ র্যালিতে বহন করা হয় প্লাকার্ড। তাতে লেখা- ‘হি ওয়ান্টেড টু ডিভাইড আস, হি অনলি মেইড আজ স্ট্রংগার’। অর্থাৎ টেরেন্ট আমাদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।
কিন্তু সে আমাদেরকে শুধুই শক্তিশালী করেছে। আরেকটি প্লাকার্ডে লেখা ‘মুসলিমস ওয়েলকাম, রেসিস্ট নট’। যার অর্থ দাঁড়ায় মুসলিমদের স্বাগতম, বর্ণবাদকে নয়। আজকের এই পদযাত্রায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের সবাই দৃশ্যত ছিলেন নীরব। তারা মৃদুস্বরে গেয়েছেন শান্তির বাণী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এ র্যালির আয়োজকদের অন্যতম ১৬ বছর বয়সী মানাইয়া বাটলা। তিনি পড়াশোনা করেন। বলেছেন, আমি মনে করি বিভিন্ন সময়ে ঘৃণা অনেক অন্ধকারকে সামনে এনেছে। কিন্তু সেই অন্ধকারের পাশাপাশি ভালবাসা হয়েছে আরো শক্তিশালী। সেই ভালবাসা অন্ধকারকে দূর করে দিয়েছে।
শনিবারও আল নূর মসজিদ খোলা আছে। এর আশপাশে পাহারা দিচ্ছে সশস্ত্র পুলিশ। তারা হামলার শিকার লিনউড মসজিদও খুলে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে। আল নূর মসজিদের বাইরে আশিক শেখ নামে একজন বলেছেন, এই সেই মসজিদ যেখানে আমরা নামাজ আদায় করি।
আমরা একে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাত করি। আবার আমরা সেখানে ফিরে আসতে পেরেছি। হামলার দিনেও তিনি এই মসজিদে উপস্থিত ছিলেন। ওই হামলায় নিহত হয়েছেন তার দুই প্রতিবেশী।
ওই হামলায় নিহতদের বেশির ভাগই বিদেশী অভিবাসী। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশী, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, সোমালিয়া ও আফগানিস্তানি।
আজকের র্যালিতে নিরাপত্তা ছিল জোরালো। নির্বিঘ্নে যেন র্যালি করতে পারেন তারা এ জন্য কয়েক ডজন সশস্ত্র পুলিশ অফিসার ও বাস মোতায়েন করা হয়েছিল রাস্তায়। আজকের এই র্যালিতে অংশ নিতে অকল্যান্ড থেকে ছুটে এসেছেন ভারতীয় পরামর্শক গ্রুপ ‘শক্তি’তে কর্মরত শীলা নায়ার।
তিনি বলেছেন, এই সমর্থন আমাদেরকে আশার সঞ্চার করেছে। অভিবাসী ও শরণার্থী সম্প্রদায় নিউজিল্যান্ডে সম অধিকারের দাবি রাখে। এই সংহতির প্রশংসা করি আমরা। এই সংহতিকে ধরে রাখতে হবে। একে নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। এভাবেই একটি সমাজ পরিবর্তিত হয়। উৎসঃ মানবজমিন ।