, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আলোচিত নুসরাত হত্যাকারী সিরাজউদ্দৌলাকে সহায়তার অভিযোগে বহিষ্কার আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ

প্রকাশ: ২০১৯-০৪-১১ ১৯:৪৩:০৩ || আপডেট: ২০১৯-০৪-১১ ১৯:৪৩:০৩

Spread the love

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে আদালতে লড়াই করা আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার নাম অ্যাডভোকেট কাজী বুলবুল সোহাগ।

তিনি ফেনীর কাজীরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান। বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম।

বৃহস্পতিবার তিনি গণমাধ্যমকে জানান, কেন্দ্রের নির্দেশে বুলবুলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিরাজউদ্দৌলাকে আইননি সহায়তা দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূর হোসেন বলেন, বিষয়টি তাকে (বুলবুলকে) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে বুলবুলকে বহিষ্কারের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন: নুসরাত যেন তনু-মিতুর মতো হারিয়ে না যায়: হাইকোর্ট

৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। তার বান্ধবী নিশাতকে মাদ্রাসার ছাদে মারধর করা হচ্ছে বলে একজন এসে তাকে জানায়। এমন সংবাদে তিনি ছাদে যান। সেখানে বোরকা পরা চারজন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন নিপীড়নের মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়।

এসময় নুসরাত বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব। এরপর তার হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের অনুসারীরা।

১০৮ ঘণ্টা আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় মারা যান অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা নুসরাত। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর আগে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। আর এই মামলায় আসামিদের আইনি সহায়তা দেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা বুলবুল।

এর আগে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজউদদৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন মেয়েটির মা। আর এ মামলা প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হচ্ছিল। উৎসঃ ইত্তেফাক ।

Logo-orginal