, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

বিদেশি চ্যানেলের পরিবেশকদের প্রতি হুঁশিয়ারি তথ্য মন্ত্রীর

প্রকাশ: ২০১৯-০৪-১০ ২০:৫৪:৩৮ || আপডেট: ২০১৯-০৪-১০ ২০:৫৫:০০

Spread the love

নিউজ ডেস্কঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ বিদেশি চ্যানেলের পরিবেশকদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বলেছেন, ডাউনলিংক করে বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। আইনানুযায়ী বিদেশি চ্যানেলে এরকম বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায় না। তাই এখানে ব্যবসা করতে হলে দেশের আইন মেনেই করতে হবে।

আজ (বুধবার) সকালে সচিবালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠকে বেসরকারি টেলিভিশনের মালিকরা বিদেশি টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার পুরোপুরি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ করেন।

এ সময় বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো’র সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, আইন না মেনে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের ফলে দেশের টেলিভিশনের পাশাপাশি পত্রিকাগুলোও আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে; আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বৈঠকে কেবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল করাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন অ্যাটকো নেতারা।

এ সময় টেলিভিশন মালিকদেরও সতর্ক করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সম্প্রচার আইন না মানলে টেলিভিশনের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। একইসঙ্গে আইনে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘টেলিভিশন শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ মানে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। টেলিভিশন শিল্পকে বাঁচাতে সম্প্রচার আইন কঠোরভাবে মানতে হবে। আইন না মানলে লাইসেন্স বাতিলসহ ২ বছরের কারাদণ্ড হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন চালানোয় শোকজ পাওয়া পরিবেশকরা ১৫ দিনের সময় চেয়েছে। তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য সময় দেওয়া হবে না।’

এছাড়া, দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশ থেকে তৈরি করে এনে দেশীয় চ্যানেলে প্রচার করায় দেশীয় বিজ্ঞাপন শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্বীকার করে তথ্যমন্ত্রী জানান, এ ব্যাপারেও আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। তথ্যমন্ত্রী বিজ্ঞাপন ছাড়া ক্লিনফিড চালানোর সিদ্ধান্তে অটুট থাকতে অ্যাটকো নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

Logo-orginal