admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৪-০২ ১৭:০৩:১৭ || আপডেট: ২০১৯-০৪-০২ ১৭:০৩:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাবিঃ গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলের আবাসিক ছাত্র মো: ফরিদ হাসানকে হল থেকে রক্তাক্ত করে বের করে দেয় হল ছাত্রলীগ।
হাসান উর্দু বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্র। সে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসারত আছে।
ফরিদ আরটিএমনিউজ২৪ কে জানায়, “আমি ঘুম ছিলাম। রাত ১১ টার দিকে ওয়াসিফ হাসান পিয়াস, সানাউল্লাহ সায়েম, সাব্বির, মুজাহিদ, রুবেল সহ হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা আমাকে রুম থেকে বের করে মারতে মারতে ঐতিহ্যে (হল ডাইনিং) নিয়ে যায়।
সেখানে হল ছাত্রলীগের বিগত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলো। পরে তাদের নির্দেশে আমার উপর মারধর শুরু হয়। সেখান থেকে মারতে মারতে হল গেইটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পালিয়ে একটা রিক্সা করে ডিএমসিতে যাই। পরে কয়েকজন সাংবাদিক সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসে।
হামলার কারণ জানতে চাইলে জানান, “গত ৩০ মার্চ হলের অবৈধ ছাত্রদের বের করে দিতে এক আন্দোলন হয়। পরে ডাকসু প্রতিনিধিরা এসে প্রভোস্ট স্যারকে নিয়ে এর সমাধান করে দেন। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় আমার ওপর হামলা করা হয়।
হামলার ব্যপারে বিগত হল কমিটির সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, “এর সাথে আমি জড়িত নই। হলে হৈচৈ দেখে সেখানে যাই। যেয়ে দেখি কয়েকজন ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি হয়।” হল থেকে বের করে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, “হলে মাদক সেবনের অভিযোগে হল প্রশাসন কর্তৃক তাকে (ফরিদ) হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কালকে তাকে হলে দেখে ছেলেরা তাকে বের হয়ে যেতে বলে।
অপর দিকে ফরিদ তাকে ফাসানোর চেষ্টার অভিযোগ দেয় হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বলেন ” হল সংসদ নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র জিএস পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় ছাত্রলীগের জিএস গোলাম রব্বানি আমাকে ফোন করে নির্বাচন না করতে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আমাকে বাধ্য করে আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায়। আমার রুম নং ১৫৯। সেখান থেকে আমাকে বের করে দেয় হল ছাত্রলীগ। এরপর থেকে আমি ১১৩ নং রুমে থাকতাম। কয়েকদিন আগে সে রুমে ইয়াবা রেখে আমাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করা হয়। পরে তারা হল প্রশাসন বরাবর দরখাস্ত করলে প্রশাসন মাদকের সাথে আমার সংযুক্ততার কোন সত্যতা পাননি।”
হল প্রশাসনের বক্তব্যে আশায় হল অফিসে গেলে সেখানে হলের প্রভোস্টকে পাওয়া যায়নি। প্রভোস্টকে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
হলে সংসদের ভিপি এম এম কামালকেও কল করা হয়। কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
এ নিয়ে ডাকসুর ভিপি জানান, ফরিদের ন্যায় বিচারে জন্য প্রশাসনের সাথে লড়ে যাবো। এর সুষ্ঠু তদন্ত হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এই হামলার তদন্ত করবেন বলে জানান।