admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৫-০৩ ১০:১৯:২০ || আপডেট: ২০১৯-০৫-০৩ ১০:১৯:২০
পূর্বাভাসের থেকে ৫-৬ ঘণ্টা আগেই স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা ছিল ফণীর। সেই মতোই শুক্রবার সকালেই ২০০ কিমি বেগে ওড়িশায় আছড়ে পড়ল ফণী। সংবাদ কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার ।
গত তিন দিন উপগ্রহ চিত্রে গতিবিধির ওপর নজর রাখার পরে হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, শুক্রবার বেলা তিনটের সময় বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে ঢুকবে সাইক্লোন ফণী। কিন্তু তার আগেই সকাল ৮.৫০ নাগাদ ওড়িশায় ঢুকে পড়ল ফণী।
এখন সেই পূর্বাভাস বদলে দিল্লির মৌসম ভবনের সাইক্লোন সতর্কতা কেন্দ্রের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে কোনও এক সময়ে ফণী আছড়ে পড়বে পুরী সংলগ্ন গোপালপুরে (গঞ্জামের ‘গোপালপুর অন সি’ নয়)। এর পরে তটরেখা ধরে সেটি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে পারে।
আপাতত ফণীর মারের মোকাবিলায় সাজো সাজো রব ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে। জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার-এর হিসেব অনুযায়ী গত ২০ বছরে এই অঞ্চলের সব চেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। এর আগে ১৯৯৯-এ এই মাত্রায় পৌঁছনো সুপার সাইক্লোনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিপুল।
কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজ বিকালে দিল্লিতে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে ছিলেন ক্যাবিনেট সচিব পি কে সিন্হা ও পিএমও-র পদস্থ আমলারা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গৌবা। এ ছাড়া ছিলেন মৌসম ভবন ও এনডিআরএফের শীর্ষ কর্তারা।