admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৫-২৭ ১২:১৮:১৬ || আপডেট: ২০১৯-০৫-২৭ ১২:৪২:৪২
সাখাওয়াত হোসাইন ফরহাদ, বাঁশখালীঃ নাড়ির টানে পাশে আনে।ঈদ আসলেই সবার জন্মস্থানে ফেরার ধুম পড়ে যায়। নিজ জন্মস্থানে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে শহর থেকে গ্রামমুখী হয় হাজারো মানুষ।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম উপজেলা বাঁশখালীবাসীও তার ব্যতিক্রম নয়। সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য বাড়ি ফিরবে হাজারো কর্মজীবি মানুষ।বাড়ি ফিরতে বাঁশখালীবাসীর প্রতিনিয়ত যে সমস্যাটির সম্মুখীন হতে হয় তা হলো পরিবহন সমস্যা।
বাঁশখালীর মানুষ পরিবহন মালিক ও ড্রাইভারদের হাতে জিম্মি।প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।ভালো কোনো সার্ভিস নাই।মাল বোঝাই গাড়ির নাম দিয়েছে স্পেশাল,তার মধ্যে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়!
আরো কত সমস্যা। ঈদ ছাড়াও সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আসলেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়,লক্করঝক্কর গাড়ি ইত্যাদি বিষয়গুলো মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়।
ইতোমধ্যে বহুবার সমস্যাগুলো নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে,সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।কিন্তু সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি।স্থানীয় জনগণের অভিযোগ প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা পরিবহন সমস্যার বিষয়টি জানার পরেও সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি,বিষয়টা তারা বারবার এড়িয়ে চলছে।অনেকবার প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো অভিযোগই অমলে নেয়নি।
অভিযোগ নিয়ে গেলে তারা সমস্যার সুরাহা করার আশ্বাস দিলেও কিন্তু পরবর্তীতে গিয়ে তারা তা রক্ষা করেনি।পরিবহন নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বাঁশখালীর জনগণ বরাবরই সোচ্চার কিন্তু প্রশাসন কিংবা প্রভাবশালীদের জনপ্রতিনিধিদের অসহযোগিতার কারণে তারা সফল হতে পারেনি।
পরিবহন মালিকরা সিন্ডিকেট করে তাদের শক্তি প্রদর্শন করলেও প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিরা এক্ষেত্রে নিরব ভুমিকা পালন করছে।
সম্প্রতি বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে কিছুটা আশার আলো পাওয়া গেলেও তা স্থায়ী সমাধান নয়।
স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে-তারা পরিবহন সেক্টরের এই অনিয়মে অতিষ্ঠ।আজ পর্যন্ত অনেক জনপ্রতিনিধি আসছে কিন্তু কেউ বিষয়টি সমাধান করেনি।
খুব দ্রুতই পরিবহন নৈরাজ্যের হাত থেকে বাঁচতে চাই তারা। তাদের আশা এবার ঈদে অন্তত বিষয়টির সমাধানের মুখ দেখবে।তারা শান্তিতে প্রিয়জনের কাছে ফিরতে পারবে। এ জন্য সর্বোচ্চ লেভেলে সহযোগিতাও চেয়েছেন তারা।