, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Avatar rtm

ষষ্ঠ তারাবিতে পঠিতব্য আয়াতের সারাংশ

প্রকাশ: ২০১৯-০৫-১১ ১৯:১৫:১৩ || আপডেট: ২০১৯-০৫-১১ ২০:৪৮:০৫

Spread the love

আজ ষষ্ঠ তারাবিতে সূরা আরাফের দ্বিতীয় রুকুর দ্বিতীয় আয়াত থেকে শুরু করে শেষ রুকু পর্যন্ত, ১২ থেকে ২০৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। সঙ্গে সূরা আনফালের প্রথম থেকে পঞ্চম রুকুর মাঝামাঝি ১ থেকে ৪০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে।

পারা হিসেবে আজ পড়া হবে আট পারার শেষার্ধ থেকে শুরু করে নবম পারার পুরো অংশ।

যুগান্তর অনলাইনের পাঠকদের জন্য আজকের তারাবিতে পঠিত অংশের মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরা হল।

৭. সূরা আরাফ : (১২-২৬)

দ্বিতীয় রুকুর দ্বিতীয় আয়াত তথা ১২ থেকে ২৬ নম্বর আয়াতে হজরত আদম (আ.) এর সৃষ্টি, ফেরেশতাদের সেজদা এবং ইবলিস কর্তৃক অস্বীকৃতির ঘটনা আলোচনা করা হয়েছে। আদম সন্তানকে ধোঁকা দেয়ার জন্য ইবলিস আল্লাহর কাছ থেকে আশ্চর্য রকমের ক্ষমতা চেয়ে নিল। এক পর্যায়ে সে বাবা আদম ও মা হাওয়া (আ.) কে ধোঁকায় ফেলে জান্নাত থেকে বের করল। এসব বিষয় আলোচনার পাশাপাশি আদম ও হাওয়া (আ.) এর তওবা কবুলের ঘটনাও রুকুর শেষ দিকে সংক্ষেপে বলা হয়েছে।

তৃতীয় রুকু। ২৭ থেকে ৩১ নম্বর আয়াতে আদম সন্তানের উদ্দেশে নসিহত করা হয়েছে যে, শয়তান যেভাবে তোমাদের পিতাকে ধোঁকা দিয়েছে, সাবধান! তোমাদের যেন ধোঁকা দিতে না পারে। যারা শয়তানের আনুগত্য করবে তারা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চতুর্থ রুকু। ৩২ থেকে ৩৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের উদ্দেশ করে বলেছেন, আল্লাহর দেয়া সুন্দর ও বৈধ জীবনোপকরণ কে মানুষের জন্য হারাম করেছে? প্রত্যেকের জন্যই নির্দিষ্ট একটি সময় থাকে, এ সময় অতিবাহিত হলে তার ধ্বংস ও পতন অনিবার্য।

অতএব, হে মানুষ! সময় থাকতেই আল্লাহর কাছে ফিরে এসো। নয়তো পরকালের জীবনে তোমাদের জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষমাণ রয়েছে।

পঞ্চম ও ষষ্ঠ রুকু। ৪০ থেকে ৫৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীর শেষ ঠিকানা হবে যথাক্রমে জান্নাত ও জাহান্নাম। এ দুই দলের বাইরে আরেকটি দল হবে, যারা জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝামাঝি থাকবে। এদেরই কোরআনে আসহাবুল আরাফ বলা হয়েছে। জান্নাত ও জাহান্নামবাসীর মধ্যে কী ধরনের কথোপকথন হবে তা বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে এ দুই রুকুতে।

সপ্তম রুকু। ৫৪ থেকে ৫৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত একটি ভাষণ দিয়েছেন। সামনের রুকুগুলোতে পূর্ববর্তীদের ইতিহাস বিস্তারিত আলোচনা আসছে। তাই এ ভূমিকার বিশেষ প্রয়োজন ছিল।

অষ্টম রুকু তথা। ৫৯ থেকে ৬৪ নম্বর আয়াতে হজরত নুহ (আ.); নবম রুকু, ৬৫ থেকে ৭২ নম্বর আয়াতে হজরত হুদ (আ.); দশম রুকু, ৭৩ থেকে ৮৩ নম্বর আয়াতে হজরত সালেহ (আ.) এর দাওয়াত এবং তার উম্মতের আচরণ কী ছিল এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

আর লুত (আ.) এর প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা রয়েছে দশম রুকুর শেষের দিকে।

এগারতম রুকু। ৮৫ থেকে ৯৩ নম্বর আয়াতে হজরত শোয়াইব (আ.) এর আলোচনা করা হয়েছে।

১২তম রুকু। ৯৪ থেকে ৯৯ নম্বর আয়াতে আবার একটি ভূমিকা দেয়া হয়েছে। সামনে হজরত মুসা, ফেরাউন ও বনি ইসরাইলের আলোচনা বিস্তারিতভাবে আসছে। তাই এ সংক্ষিপ্ত; কিন্তু সারগর্ভ ভূমিকা দেয়া হয়েছে।

১৩তম রুকু থেকে শুরু করে ২১তম রুকু পর্যন্ত, ১০০ থেকে ১৭১ নম্বর আয়াতের বিশাল অংশজুড়ে হজরত মুসা ও ফেরাউনের আলোচনা করা হয়েছে। মুসা (আ.) কীভাবে ফেরাউনের মোকাবিলা করেছেন, কীভাবে বনি ইসরাইলকে স্বাধীন করেছেনে, এরপর বনি ইসরাইল আল্লাহর এতসব নেয়ামত পাওয়া সত্ত্বেও কীভাবে নাফরমানির পর নাফরমানি করেছে, এসব আলোচনা করা হয়েছে এ অংশে।

২২তম রুকু থেকে ২৪তম তথা শেষ রুকু। ১৭২ থেকে ২০৬ নম্বর আয়াতে মানবজাতির উদ্দেশে বিভিন্ন নসিহত করা হয়েছে। আলমে আরওয়াহ তথা রুহের জগতের মানুষের সঙ্গে আল্লাহর কী কথোপকথন হয়েছে এ প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সূরা শেষ হয়েছে বেশি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন মোমিন বান্দাদের বৈশিষ্ট্য এ কথা বলে।

৮. সূরা আনফাল : (১-৪০)

সূরা আনফাল নাজিল হয়েছে মদিনায়। এর মোট আয়াত সংখ্যা ৭৫। রুকু সংখ্যা ১০। আজ পঠিত হবে পঞ্চম রুকুর মাঝামাঝি, ১ থেকে ৩৯ নম্বর আয়াত পর্যন্ত।

প্রথম রুকু। ১ থেকে ১০ নম্বর আয়াতে গনিমত তথা যুদ্ধলব্ধ সম্পদের বিধান কী তা বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় রুকু। ১১ থেকে ১৯ নম্বর আয়াতে যুদ্ধের নিয়ম-নীতি বলা হয়েছে।

তৃতীয় রুকু। ২০ থেকে ২৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করার জোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চতুর্থ রুকু ও পঞ্চম রুকুর মাঝামাঝি, ২৯ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য না করলে দুনিয়া-আখেরাত, ঈমান-আমলের কত বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে তা বোঝানো হয়েছে।

Logo-orginal