, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

পুলিশ সার্জেন্ট বেড়ধক পেটালো এক শ্রমিককে……

প্রকাশ: ২০১৯-০৫-১৮ ১৭:৪৩:৫২ || আপডেট: ২০১৯-০৫-১৮ ১৭:৪৩:৫২

Spread the love

যশোরে হাইওয়ে পুলিশ সার্জেন্ট পলিটন মিয়ার মারপিটে গুরুতর আহত হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে খুলনা-বেনাপোল সড়কের শংকরপুর টার্মিনালের পাশে চাকলাদার ফিলিং স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সিরাজুল এখন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি খুলনা বেনাপোল সড়ক উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্সের সিগন্যাল ম্যান। মারপিটের ঘটনার পর সড়কের উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা সড়কের মাটি খোঁড়ার কাজে ব্যবহৃত এস্কেভেটর সড়কে আড় করে দিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ ঘটনায় ঐ সড়কে আধাঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন। মারপিটকারী সার্জেন্ট পলিটন মিয়া যশোরের নাভারণ হাইওয়ে ফাঁড়িতে কর্মরত।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কের একপাশ খোঁড়া হচ্ছে। এ কারণে সড়কের আরেক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। একসাথে দুপাশের গাড়ি চলাচল করলে জ্যাম লেগে ভোগান্তি হবে তাই একপাশে যানবাহন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে আরেকপাশ ছাড়ি। ঘটনার সময় যশোর সাইডের গাড়ি ছেড়ে খুলনার সাইড বন্ধ করি। সব গাড়ি সাইড করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যশোরের দিক দিয়ে গাড়ি খুলনার দিকে যাচ্ছে। খুলনার দিকে দিয়ে আসা সব গাড়ি দাড়িয়ে থাকা সত্তেও তিনি চলে আসেন। সে সময় তিনি সিভিল পোশাকে সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেটকারে ছিলেন। তিনি নিজেই ড্রাইভিং করছিলেন। এ সময় আমি তাকে বলি ‘ভাই একটা মিনিট পরে যান। আপনি যদি সামনে যান সবার ভোগান্তি হবে। কেউই বের হতে পারবে না।

তিনি বলেন, এটা বলার পর তিনি গাড়ি থেকে নেমেই তার হাতে থাকা একটি কভার পরানো লোহার রড দিয়ে আমাকে মারতে শুরু করেন। তিনি আমার বাম হাত ও বাম পায়ের বিভিন্নস্থানে অনেক মেরেছেন। এখন আমি যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না।

সিরাজুলকে চিকিৎসা প্রদানকারী যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার নাজমুল হাসান তুহিন বলেন, তার বাম হাত-পায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। তার বাম পায়ের আঘাত গুরুতর হতে পারে। তার পা ভেঙেছে কিনা তা জানার জন্য এক্সরে করতে দেওয়া হয়েছে। এক্সরের পর জানা যাবে তার পা ভেঙেছে কিনা।

এ ব্যাপারে মাহবুব ব্রাদার্সের সুপারভাইজার জুম্মন শেখ জানান, ঘটনা শুনে পুলিশ সুপারের অফিসের কর্মকর্তারা আমাদের ডেকেছিলেন। তিনি সব শুনেছেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ সার্জেন্ট পলিটন মিয়া দুপুরে বলেন, আমি মুড়লি মোড় থেকে ফিরছিলাম। এ সময় আমি গাড়ি ব্রেক করি। সে হয়তো মনে করেছিল আমি গাড়ি টান দিয়ে চলে যাব। সে ওই সময় আমার গাড়িতে লাঠি দিয়ে বাড়ি মারে। এতে আমারও রাগ হয়। সত্যি বলতে আমিও তখন লাঠি দিয়ে তার হাতে একটি বাড়ি মারি। এ বিষয়ে এডিশনাল এসপি স্যার আমাকে তার অফিসে ডেকেছিলেন। তিনি সব শুনেছেন। শ্রমিকদের সাথে বিষয়টির মিমাংসা হয়েছে। উৎসঃ কালের কন্ঠ ।

Logo-orginal