, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin admin

মাহে রমজানের গুরুত্ব ও ফযিলত

প্রকাশ: ২০১৯-০৫-০৮ ১৩:০১:৪০ || আপডেট: ২০১৯-০৫-০৮ ১৩:০১:৪০

Spread the love

রমজান ডেস্কঃ রোজা ফরজ হওয়ার দলিল: পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার। [২:১৮৩]

أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। [২:১৮৪]

বিশ্লেষণ:

রমজান বা রামাদান শব্দটি আরবী। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এই শব্দটির নির্দেশনামূলক ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। আরবী আভিধানে শব্দটি উত্তাপ, তাপের উচ্চমাত্রা, দগ্ধ করা ও তাপদগ্ধ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

আর রমজানকে এ সব অর্থে এজন্যই ব্যবহার করা হয়েছে যে, রমজানে সিয়াম ও কিয়াম সাধনা, সিয়াম পালনকারী সবর ও সহিষ্ণুতার অগ্নি দহনে, সংযমের উত্তাপে ষড়রিপুকে দগ্ধ করে কুপ্রবৃত্তির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন এবং নিজেকে পরিশোধিত ও পরিশীলিত মানুষরূপে গড়ে তোলার সুযোগ পান।

আরবী সাওম শব্দের অর্থ বিরত থাকা। সিয়াম তার বহুবচন। শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে সুবহে সাদিক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার, কামাচার ও পাপাচার বিরত থাকার নাম সাওম। শুধুমাত্র পানাহার ও কামাচার থেকে বিরত থাকার নাম সিয়াম পালন নয় বরং নিজের নফসের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে জাগতিক লোভ লালসা থেকে মুক্ত থেকে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন রমজান ও সিয়ামের প্রকৃত শিক্ষা।

বস্তুত এ মাস একনিষ্ঠভাবে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি, প্রশিক্ষণ, আত্মগঠন ও তাকওয়া অর্জনের মাস। তাই এই মাস আমাদের মধ্যে যখন হাজির হয় আমাদের সকলেরই উচিত এই মহিমান্বিত মাসের মর্যাদা যথাযথভাবে রক্ষা করা জাগতিক ও পরলৌকিক কল্যাণ লাভ করা। মানুষ যাতে উল্লেখিত গুণাবলী অর্জন করে কল্যাণ লাভ করতে পারে এজন্যই আমাদের ওপর সিয়াম পালনকে অত্যাবশ্যকীয় করে দেয়া হয়েছে। পবিত্র কালামে হাকীমে ঘোষিত হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের ওপর সিয়াম পালনকে অত্যাবশ্যকীয় করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর অত্যাবশ্যকীয় ছিল; যেন তোমরা খোদাভীতি তথা তাকওয়া অর্জন করতে পার’ ( সুরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)।

সিয়াম পালনের শুধু যে আধ্যাত্মিক গুরুত্ব রয়েছে এমন নয় বরং এর জাগতিক ও বৈষয়িক গুরুত্বের বিষয়টিও অস্বীকার করার মত নয়। প্রখ্যাত জার্মান চিকিৎসাবিদ ড. হেলমুট লুটজানার-এর ‘The secret of successful fasting’ অর্থাৎ ‘উপবাসের গোপন রহস্য’ বইটিতে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠন ও কার্যপ্রণালী বিশ্লেষণ করে নিরোগ, দীর্ঘজীবী ও কর্মক্ষম স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে বছরের কতিপয় দিন উপবাসের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ড. লুটজানারের মতে, “খাবারের উপাদান থেকে সারা বছর ধরে মানুষের শরীরে জমে থাকা কতিপয় বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন), চর্বি ও আবর্জনা থেকে মুক্তি পাবার একমাত্র সহজ ও স্বাভাবিক উপায় হচ্ছে সাওম বা উপবাস। উপবাসের ফলে শরীরের অভ্যন্তরে দহনের সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে শরীরের অভ্যন্তরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থসমূহ দগ্ধীভূত হয়ে যায়।”

সিয়াম পালনের ফলে মানুষের শরীরে কোনো ক্ষতি হয় না বরং অনেক কল্যাণ সাধিত হয়, তার বিবরণ কায়রো থেকে প্রকাশিত ‘Science for Fasting’ গ্রন্থে পাওয়া যায়। পাশ্চাত্যের প্রখ্যাত চিকিৎসাবিদগণ একবাক্যে স্বীকার করেছেন ‘The power and endurance of the body under fasting Conditions are remarkable; After a fast properly taken the body is literally boom afresh’. অর্থাৎ “রোজা রাখা অবস্থায় শরীরের ক্ষমতা ও সহ্যশক্তি উল্লেখযোগ্য; সঠিকভাবে রোজা পালনের পর শরীর প্রকৃতপক্ষে নতুন সজীবতা লাভ করে।”

মূলত পবিত্র মাহে রমজান আত্মশুদ্ধি, আত্মগঠন, প্রশিক্ষণ ও আত্মগঠনের মাস। কারণ, এ মাসেই কঠোর সিয়াম ও কিয়াম সাধনার মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাথে সম্পর্ক গভীর হয় এবং নফসের দাসত্বের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যায়। মানুুষ যাতে মাসব্যাপী কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তাকওয়া ও তাজকিয়া অজর্নের মাধ্যমে আত্মগঠন করতে পারে এই জন্যই আল্লাহ রাব্বুল আমাদের জন্য সিয়াম পালনকে অত্যাবশ্যকীয় করে দিয়েছেন।

আর আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন করে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির অন্যতম ও অপরিহার্য মাধ্যমই হচ্ছে সিয়াম সাধনা। মূলত রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির মহান বারতা নিয়ে প্রতি বছরই আমাদের মাঝে ফিরে আসে পবিত্র মাহে রমজান। যারা সৌভাগ্যবান শুধু তরাই এ মাসের ফায়দা হাসিল করতে সক্ষম হয়। আর ভাগ্যবিড়ম্বিতরা থাকে উদাসীনই।

আল্লাহ নিজের সঙ্গে সিয়ামের সম্পর্ক ঘোষণা করেছেন। হাদিসে কুদসীতে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উল্লেখিত হয়েছে। এমনিভাবে সব ইবাদত-বন্দেগি থেকে সিয়ামকে আলাদা মর্যাদাও দেয়া হয়েছে। নিন্মোক্ত হাদিসের বর্ণনা থেকে তার প্রমাণ মেলে।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, “তিনি রাসূলকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ), আমাকে অতি উত্তম কোনো নেক আমলের নির্দেশ দিন। রাসূল (সা.) বললেন, তুমি রোজা পালন করো। কারণ এর সমমর্যাদার কোনো আমল নেই” (নাসাঈ)। মূলত সাওম ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম স্তম্ভ এবং অতিগুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত।

হাদিস শরীফে এ মাসের প্রথম দশকে রহমত, দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত ও শেষ দশককে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাই এই মাসকে গোনাহ মাফ ও মুক্তির মাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিখ্যাত সাহাবী হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে রমজানে সিয়াম পালন করবে তার পূর্বের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে রমজান মাসের রাত্রিতে এবাদত করবে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে কদরের রাত্রি এবাদতে কাটাবে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারী, মুসলিম)।

পবিত্র রমজান ক্ষমা লাভের মাস। এ মাস পাওয়ার পরও যারা নিজেদেরকে পুত-পবিত্র, অন্যায়-অনাচার, পাপ-পঙ্কিলতা মুক্ত করতে পারলো না রাসূল (সা.) তাদেরকে ধিক্কার দিয়ে বলেছেন, ‘‘ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক যার কাছে রমযান মাস আসলো অথচ তার গোনাহগুলো ক্ষমা করিয়ে নিতে পারল না।’’ (তিরমিযী)

এই মাসটি যে সকল কারণে গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি হলো:

১. রমজান হলো কুরআন নাজিলের মাস : আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: “রমজান মাস, এতে নাজিল হয়েছে আল-কুরআন, যা মানুষের দিশারি এবং স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী।” (সূরা বাকারা : ১৮৫) রমজান মাসে সপ্তম আকাশের লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশে বায়তুল ইজ্জতে পবিত্র আল-কুরআন একবারে নাজিল হয়েছে। সেখান হতে আবার রমজান মাসে অল্প অল্প করে নবী করিম সা.-এর প্রতি নাজিল হতে শুরু করে। এ মাসে মানুষের হেদায়াত ও আলোকবর্তিকা যেমন নাজিল হয়েছে তেমনি আল্লাহর রহমত হিসেবে এসেছে সিয়াম। তাই এ দুই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে বেশি বেশি করে কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত। প্রতি বছর রমজান মাসে জিবরাইল রাসূলুল্লাহ সা.-কে পূর্ণ কুরআন শোনাতেন এবং রাসূল সা.-ও তাকে পূর্ণ কুরআন শোনাতেন। আর জীবনের শেষ রমজানে আল্লাহর রাসূল দুই বার পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত করেছেন। সহি মুসলিমের হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণিত।

২. এ মাসে জান্নাতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত রাখা হয়, জাহান্নামের দ্বারসমূহ রুদ্ধ করে দেয়া হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : “রমজান মাস এলে জান্নাতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত রাখা হয় জাহান্নামের দ্বারসমূহ রুদ্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের শৃঙ্খলিত করা হয়। (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৮০০)

৩. এ মাসে রয়েছে লাইলাতুল ক্বদরের ন্যায় বরকতময় রজনী : মহান আল্লাহ বলেন, “লাইলাতুল ক্বদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাত্রে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হন প্রত্যেক কাজে, তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় এ রজনী, ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত।’’ (সূরা আল ক্বদর : ৩-৫)

৪. এ মাস দোয়া কবুলের মাস : নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “(রমজানের) প্রতি দিন ও রাতে (জাহান্নাম থেকে) আল্লাহর কাছে বহু বান্দা মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক বান্দার দোয়া কবুল হয়ে থাকে (যা সে রমজান মাসে করে থাকে)।’’ (সহীহ সনদে ইমাম আহমদ কর্তৃক বর্ণিত, হাদিস নং ৭৪৫০)

৫. রোজার পুরস্কার আল্লাহ স্বয়ং নিজে প্রদান করবেন : একটি হাদিসে কুদসিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ বলেন, “বনি আদমের সকল আমল তার জন্য, অবশ্য রোজার কথা আলাদা, কেননা রোজা আমার জন্য এবং আমিই এর পুরস্কার দেবো।’’ (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৮০৫)

৬. রোজা রাখা গোনাহের কাফফারা স্বরূপ এবং ক্ষমালাভের কারণ : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রামাদান মাসে রোজা রাখবে, তার পূর্বের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’’ (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৯১০)

৭. রোজা জান্নাত লাভের পথ : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে যাকে বলা হয় ‘রাইয়ান’। কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে রোজাদারগণ প্রবেশ করবে। অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না, রোজাদারগণ প্রবেশ করলে এ দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আর কেউ সেখান দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’’ (সহীহ বুখারি, হাদিস নং ১৭৯৭)

৮. সিয়াম রোজাদারের জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন: “কিয়ামতের দিন রোজা এবং কুরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, ‘হে রব! আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও প্রবৃত্তির কামনা হতে বাধা দিয়েছি; সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। ’কুরআন বলবে, ‘আমি তাকে রাতের বেলায় ঘুমাতে দেইনি; সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। ফলে এ দুয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।’’’ (মুসনাদ, হাদিস নং ৬৬২৬)

৯. রোজা জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তিলাভের ঢাল : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন : যে বান্দাহ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে আল্লাহর রাস্তায় একদিন রোজা রাখে আল্লাহ তার মাঝে এবং জাহান্নামের মাঝে ৭০ বছরের দূরত্ব তৈরি করেন। (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৮৯৪)

১০. এ মাসের রোজা রাখা একাধারে বছরের দশ মাস রোজা রাখার সমান : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমতুল্য, ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান, এ যেন সারা বছরের রোজা।”
১১. রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মিসকের সুগন্ধির চেয়েও উত্তম : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ তার শপথ! রোজাদারের মুখের গন্ধ কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে মিসকের চেয়েও সুগন্ধিময়।’’ (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৮৯৪)

১২. রোজা ইহ-পরকালে সুখ-শান্তি লাভের উপায় : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “রোজাদারের জন্য দুটো খুশির সময় রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় এবং অন্যটি স্বীয় প্রভু আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়ার সময়।’’ (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৮০৫)

আল্লাহ সুবহানওতায়ালা আমাদের যথাযত হক আদায় করে রোজা পালনের তৌফিক দিন । #আমিন ।

সংকলনেঃ আবুল কাশেম ( kashem5416@gmail.com )

Logo-orginal