, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

২০১৫ বিশ্বকাপ ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্যের আসর

প্রকাশ: ২০১৯-০৫-১২ ১৬:২০:০০ || আপডেট: ২০১৯-০৫-১২ ১৬:২০:০০

Spread the love

আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯। মেগা এই ইভেন্টের আগে বাংলাদেশ দল বর্তমানে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। মূলত বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হিসেবেই এ সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপে টাইগারদের সেরা সাফল্য ২০১৫ বিশ্বকাপে। গত আসরে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল প্রথমবার।

এবার বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশ দলের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক:
১৯৭৫ সালে আইসিসির সদস্য ছিল না বাংলাদেশ এবং যে কারণে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নিতে পারেনি। ১৯৭৯-১৯৯৯৬ পরবর্তী পাঁচটি বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারেনি। ১৯৯৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ১৯৯৯ আসরে। তারপর থেকে প্রতিটি আসরেই খেলছে টাইগাররা। ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১১ তিন বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ২০০৭ আসরে খেলেছে সুপার এইট পর্ব। ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছে কোয়ার্টারফাইনাল।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২০১৫ আসরে। নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২/৪। সর্ব নিম্ন স্কোর ২০১১ আসরে নিজ মাঠ মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮।

মাহমুদউল্লাহ এবং শফিউল ইসলামের বিশ্বকাপ রেকর্ড: বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৮ রানের রেকর্ড রয়েছে মাহমুদউল্লাহর। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি এই রেকর্ড গড়েন। মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে কেবলমাত্র মাহমুদউল্লাহরই (২টি) সেঞ্চুরি রয়েছে।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা বেলিং পারফরমেন্স শফিউল ইসলামের। ২০১১ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২১ রান ৪ উইকেট শিকার বিশ্বকাপে টাইগার দলের সেরা বোলিং নৈপুণ্য। এছাড়া এক ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার রয়েছে মাশরাফি, সাকিব এবং রুবেল হোসেনের।

সাকিব আল হাসান: বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার সাকিব। বিশ্বের সেরা এই অল-রাউন্ডার বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচ খেলেছেন। তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ৫৫ রানে ৪ উইকেট শিকার। ৪ দশমিক ৯৯ গড়ে তার মোট উইকেট ২৩টি।
ব্যাট হাতে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট রান ৫৪০।

বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আরো কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপে সাকিব ছাড়া পাঁচশ’র বেশি রান করা একমাত্র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কাও রয়েছে মুশফিকের।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। সর্বোচ্চ ৯টি ক্যাচও এই তারকা ব্যাটসম্যানের।
২০১৫ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদউইল্লাহ- মুশফিকের ১৪১ রান বিশ্বকাপে টাইগার দলের সর্বোচ্চ জুটি।

২০১৯ বিশ্বকাপ: কিছু জরুরি বিষয় বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে:
ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবালের যথার্থ সঙ্গী খুঁজে নিতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক একটা রান অতিক্রম করতে শক্তিশালী মিডল অর্ডার দরকার। টাইগার দলের আরেকটি দুঃশ্চিন্তার বিষয় বোলিং গভীরতার অভাব। তাছাড়া অধারাবাহিকতা দলকে ভোগাতে পারে।
তবে সব কিছু ঠিকভাবে হলে দলটি সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। উৎসঃ কালের কন্ঠ ।

Logo-orginal