, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

কাস্মীর নিয়ে আলোচনা চায় ইমরান” সাড়া নেই মোদির

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-০৮ ১৯:৫২:৩৭ || আপডেট: ২০১৯-০৬-০৮ ১৯:৫২:৩৭

Spread the love

ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত সংঘাতের মূলে থাকা কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ভারতের পুনর্নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবার বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মোদি এ ব্যাপারে এখনো আশাব্যঞ্জক সাড়া দেননি। পাকিস্তানি গণমাধ্যমের বরাতে ভারতের সংবাদ সংস্থা এনডিটির খবরে এ কথা জানানো হয়।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর এর আগে দুবার মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইমরান। প্রথমবার টুইটারে এবং দ্বিতীয়বার ফোনে। হাতে হাত রেখে একসঙ্গে কাজ করে যেতে মোদির প্রতি আহ্বান জানান ইমরান। জবাবে মোদি বলেন, সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলাটা আগে জরুরি।

পাকিস্তানের জিও টিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে চিঠি লিখেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেই কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চেয়ে চিঠি লিখলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

১৩ থেকে ১৪ জুন কিরগিজস্তানে বিশকেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে ভারত। সেখানে থাকছে পাকিস্তানও। তবে গতকাল শুক্রবার ভারত জানিয়ে দিয়েছে, ওই সম্মেলনের পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে হবে না। ভারতের ওই ঘোষণার পরই আলোচনার প্রস্তাব এল ইমরান খানের পক্ষ থেকে।

চিঠিতে এ প্রসঙ্গ তুলে ইমরান খান জানিয়েছেন, বিবদমান কাশ্মীর ইস্যুসহ ভারতের সঙ্গে সব সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে আগ্রহী পাকিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য, আঞ্চলিক উন্নতিতে এবং দুই দেশের দারিদ্র্য দূর করতে ভারত ও পাকিস্তানকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। তাই সবার আগে বৈঠকে বসা জরুরি।

কেবল ইমরানই নন, ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। চিঠিতে তিনিও ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দায়িত্ব পাওয়ার জন্য জয়শঙ্করকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি কুরেশি তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ইসলামাবাদ সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নয়াদিল্লির সঙ্গে কথা বলতে চায়। কুরেশির চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসতেই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক, যা ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, তা কিছুটা নরম হতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

তবে একসঙ্গে কাজের কথা বললেও ইমরান খানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কারণ, পাকিস্তানের অতীত। ‘নয়া পাকিস্তান’ গড়ার কথা বলে গত বছর ক্ষমতায় আসেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান খান।

ভারত প্রসঙ্গে বরাবরই তিনি বলে আসছেন, ‘নয়াদিল্লি এক পা এগিয়ে এলে আমি দুই পা এগিয়ে যাব।’ কিন্তু আসলে তেমন ঘটেনি। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের কথা বলা হলেও জঙ্গিবাদের লালনপালন পাকিস্তানে হচ্ছে। আর এ জন্যই পুলওয়ামার মতো ভয়াবহ আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় জয়শ–ই–মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের সম্পৃক্ততা মানতে চায়নি ইমরানের সরকার। তাই মুখের কথা কতটা কাজে লাগবে, অর্থাৎ ইমরানের আলোচনায় বসতে চাওয়াটা কতটা কাজ দেবে, তা সময়ই বলবে।উৎসঃ প্রথম আলো ।

Logo-orginal