admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৬-০৪ ০৯:৫০:১২ || আপডেট: ২০১৯-০৬-০৪ ০৯:৫০:১২
কুয়েত সিটিঃ তেল সমৃদ্ধ আরব ডলারের দেশ কুয়েতে এসেছিল বুকভরা স্বপ্ন আর আশা নিয়ে হাজার হাজার বাংলাদেশি, হয়ত শত রঙ্গিন স্বপ্ন বাসা বেঁধে ছিলে প্রতিটি বাংলাদেশি যুবকের হ্রদয়ে। মায়ের গহনা, বাবার জমানো টাকা বা জমি, স্বজনদের সহযোগিতায় লাখ লাখ টাকা দিয়ে ভিসা কিনে বিদেশ এসেছে এইসব যুবকরা ।
ভিসা ব্যবসায়ী কথিত দালাদের লাগামহীন আশ্বাস প্রবাসের মাটিতে পা ফেলতেই মরুভূমির মিছে বালির ঘরে পরিণত হয়, মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ভিটে মাটি বিক্রি করে মধ্যপ্রাচ্যে আসা হাজারো বাংলাদেশির ।
এমন হাজারো বাংলাদেশি কুয়েতে ঈদ উদযাপন করেছে বেতন ও একামা ছাড়া, শুধু চোখের পানি মিশিয়ে ।
আরটিএমের কুয়েত প্রতিনিধির সাথে কথা হয়েছে কুয়েতস্থ তিনটি কোম্পানির বেতন আর একামা না পাওয়া বাংলাদেশিদের সাথে ।
দেশটির মাহাবুল্লা, হাসাবিয়া, ফারওয়ানিয়া ইত্যাদি এলাকায় রয়েছে এইসব কোম্পানির ব্যারাক ।
লেস্কো, লজিস্টিকা, গ্যাকো নামের তিন কোম্পানিতে প্রায় হাজার খানিক বাংলাদেশি মানবেতার জীবনযাপন করতেছে। একামা ও চাকুরী ছাড়া এইসব বাংলাদেশির ঈদ উদযাপন সত্যি হ্রদয় বিদারক ।
নিজের পরিবারের জন্য টাকা-পয়সা পাঁঠাতে না পেরে এই প্রতিবেদকের সম্মুখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে গ্যাকো কোম্পানির ফারওয়ানিয়া ব্যারাকে থাকা কুমিল্লার এক যুবক ।
এইরকম শত শত হ্রদয় বিদারক দৃশ্য দেখা মিলবে এইসব কোম্পানির ব্যারাকে ।
টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রফিক, শত আশা নিয়ে কুয়েত এসেছে গত ২০১৮ সালের মার্চে, বেতন নামের সোনার হরিণ এখনো হাতে ধরা দেয়নি, পায়নি একামাও, দালাল বলছে আরো টাকা দিলে একামা লাগবে, এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা এই যুবক ।
রফিকের মত হাজারো বাংলাদেশি যুবক আজ মঙ্গলবার ( ৪ জুন ২০১৯) কুয়েতে ঈদ উদযাপন করেছে বুকভরা শত কষ্ট নিয়ে ।
গত রোববার কুয়েতের সংসদে বিদেশি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গেছে, দেশটির সাংসদ ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ আদেল ধামকি ।
তিনি সংসদে তথ্য উপস্থাপন করে দ্রুত এইসব শ্রমিকের বেতন ও একামা নবায়নে কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ।
উল্লেখ্য, কুয়েতে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রবাসী শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) আদায় নিয়ে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসে অনেকবার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।