, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে যে অভিযোগ দিল আমিরাত

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-০৮ ২০:২৬:৪২ || আপডেট: ২০১৯-০৬-০৮ ২০:২৬:৪২

Spread the love

গতমাসে ফুজায়রা বন্দরে চারটি তেল ট্যাংকারে নাশকতামূলক হামলার ঘটনায় নির্দিষ্ট একটি দেশের হাত ছিল বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। খবর আল আরাবিয়্যাহর।

দেশটির পক্ষ থেকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ মে চালানো ওই হামলাটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত, অত্যাধুনিক ও সমন্বিত অভিযান ছিল। প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট একটি দেশের কথা বলা হলেও স্পষ্টভাবে কোনো দেশের কথা জানায়নি আরব আমিরাত।

ধারণা করা হচ্ছে, একটি দেশ বলতে ইরানকেই উদ্দেশ্য করেছে আরব আমিরাত।

গতমাসে দেশটির ফুজাইরা বন্দরে চালানো ওই হামলায় সৌদি আরব ও নরওয়ের তেলবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

শুরু থেকে এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ি করলেও জাতিসংঘে দেয়া প্রতিবেদনে আরব আমিরাত কোনো রাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেনি।

তবে তেহরান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।

উল্টো নাশকতামূলক এ হামলাকে ইসরাইলি দুষ্কৃতি বলে আখ্যায়িত করেছেন ইরানের পার্লামেন্টারি মুখপাত্র বাহরুজ নেমাতি।

গত মাসের শেষের দিকে আমিরাত সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছিলেন, ওমান উপসাগরীয় অঞ্চলে তেল ট্যাংকারে হামলার পেছনে যে ইরান রয়েছে, এ বিষয়ে আমরা অনেকটাই নিশ্চিত।

ইরানের পক্ষ থেকে বোল্টনের এ অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে ওমান সাগর উপকূলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজায়রা বন্দরে চারটি জাহাজে গুপ্ত হামলার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সৌদি আরবের দুটি তেলের ট্যাংক ছিল।

ঘটনার পর আরব সাগর থেকে পারস্য উপসাগর পর্যন্ত পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যে এ ঘটনাকে ‘ভীতিকর ও উদ্বেগজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এ ঘটনার তদন্ত দাবি করে তেহরান।

ফুজায়রা হচ্ছে আমিরাতের একমাত্র টার্মিনাল যেটি আরব সাগরের উপকূলে অবস্থিত। এর পাশেই অবস্থিত হরমুজ প্রণালি দিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ তেল রফতানি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে এই জলপথ বন্ধ করে দেয়া হবে বলে আগে কয়েকবার হুমকি দিয়েছে ইরান। ফুইজায়রায় এ বিস্ফোরণ এমন সময়ে ঘটেছে, যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সৌদি আরবের ওই জাহাজ দুটি জ্বালানি তেল নিয়ে আরব সাগর অতিক্রম করার সময় এ হামলার শিকার হয়। তেল নিয়ে ওই ট্যাংকারের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল।

হামলার মাসখানেকের মধ্যে এ বিষয়ে জাতিসংঘে দেয়া প্রতিবেদনে ইরানকে কৌশলে দোষারোপ করলেও সরাসরি দেশটির নাম উল্লেখ করেনি সংযুক্ত আরব আমিরাত। উৎসঃ যুগান্তর ।

Logo-orginal