, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

বিশ্বে আলোচিত আসিফা ধর্ষণ মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন সাজা

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-১০ ১৯:০৯:৪৪ || আপডেট: ২০১৯-০৬-১০ ১৯:০৯:৪৪

Spread the love

ভারতের কাশ্মীরে মন্দিরে নিয়ে মুসলিম শিশু আসিফাকে ধর্ষণের মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে পাঠানকোটের একটি বিশেষ আদালত। এ ঘটনায় মোট ৬জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আলামত ধ্বংস করার দায়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কাশ্মীরের রাজ্য বিজেপির নেতারা ধর্ষকদের সমর্থন দিয়েছিলেন।

দোষীরা হলেন প্রাক্তন রাজস্ব কর্মকর্তা সাঞ্জি রাম, তার বন্ধু প্রবেশ কুমার, আনন্দ দত্ত, তিলক রাজ, দীপক খাজুরিয়া এবং সুরেন্দর বর্মা। জুন মাসের ৩ তারিখ শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হয়। গোটা পর্বটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়।

গত বছরের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ জম্মুর কাঠুয়া জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই শিশুকন্যাকে অপহরণ করে স্থানীয় মন্দিরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পুরো ঘটনায় উত্তাল হয় ভারত।

দিন সাতেক বাদে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। তারও তিন দিন বাদে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বয়স নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকায় এখনও তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। সে নাবালক কিনা তা খতিয়ে দেখবে জম্মু-কাশ্মীরের হাইকোর্ট। তারপরই এই মামলায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা।

গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে পথে নামে সবাই। ঘটনার তদন্ত শুরু করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও হেড কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন রাজস্ব কর্মকর্তা সাঞ্জি রাম মার্চ মাসের ২০ তারিখ আত্মসমর্পণ করে।

হিন্দুত্ববাদীদের হুমকির মুখেও আসিফা ধর্ষণ মামলায় আইনি লড়াই চালিয়ে যান আইনজীবী দিপিকা সিং রাজওয়াত।

ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত করে বলে, এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার নেপথ্যে আরও একটি বিষয় রয়েছে। একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে ভয় দেখাতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

এই ঘটনাকেও ঘিরে বিজেপি এবং তাদের তৎকালীন জোট শরিক পিডিপি’র মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রী চৌধুরি লাল সিং এবং প্রকাশ গঙ্গা অভিযুক্তদের হয়ে মিছিলে হাঁটেন।

আজ রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি। তিনি বলেন এই রায়কে আমি স্বাগত জানাই। তাছাড়া এরকম একটা নিয়ে যে রাজনীতি চলছে তা আমাদের বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আইনের ফাঁক ফোঁকরের সুযোগ যাতে কেউ নিতে না পারে তা আমাদের দেখতে হবে। উৎসঃ ইত্তেফাক ।

Logo-orginal