, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

Avatar Maftun

রাঙ্গামাটি মানিকছড়িতে নিখোঁজ রাঙ্গুনিয়ার তরুণের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-২১ ১৯:৪৪:০৬ || আপডেট: ২০১৯-০৬-২১ ২০:২৮:০০

ইসমাঈল হোসেন নয়ন,  রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটি মানিকছড়িতে রাঙ্গুনিয়া থেকে নিখোঁজ হওয়া এক তরুণের লাশ পাওয়া গেছে। গত সোমবার উপজেলার শিলক ইউনিয়নের নটুয়ার টিলা এলাকা থেকে নিখোঁজের ৩ দিন পর বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুরে রাঙামাটির মানিকছড়ি এলাকার পাহাড়ি জঙ্গল থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে তার স্বজনরা গিয়ে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতাল থেকে লাশটি চিহ্নিত করে।

নিহত তরুণের নাম অজয় দাশ (১৭) সে উপজেলার শিলক ইউনিয়নের নটুয়ার টিলা এলাকার বীরেন্দ্র দাশের পুত্র।

তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। লাশটি শিলক এনে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে সৎকার করা হয়েছে।

রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রণি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সদরের সাপছড়ি ইউনিয়নের মানিকছড়ি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পাহাড়ি জঙ্গলে স্থানীয়রা গাছের সাথে একটি ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য রাঙামাটি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিল।

নিহতের চাচাতো ভাই শয়ন দাশ বলেন, অজয় গত সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে শিলক থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। তাকে খুজে পাওয়া না গেলে এদিন রাতে রাঙ্গুনিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল তার মা। এরপর ফেসবুকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তাকে খুজেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি দুইদিন বন্ধের পর খোলা পাওয়া যায়। এটিতে ফোন করলে অপরিচিত একজন জানায় মুঠোফোনের মালিকের লাশ মানিকছড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় এটি অজয়ের লাশ।

তার মা বেবি দাশ জানান, অজয় দাশ হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরী হাট এলাকায় একটি কার-মাইক্রো প্রিন্টিং দোকানে চাকুরী করতো। সেখান থেকে গত রোববার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে অংশ নিতে সে বাড়ি এসেছিল। নিখোঁজের দিন শিলক ইউনিয়ন পরিষদে যায় সে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে দুপুরে তার এক বন্ধু এসেছে জানিয়ে ঘর থেকে বের হয়। দুপুর ২টার দিকে কোদালা চা বাগান এলাকা থেকে ফোনে তার বড় বোনের সাথেও কথা হয় তার। কিন্তু এরপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি সে। এদিকে রাতেও বাড়ি না ফিরলে সবার পরামর্শে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার মা। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়ার খবর পান তিনি। ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না জানিয়ে মা বেবি দাশ অভিযোগ করেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করতে পারে না।’

শিলক ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড নটুয়ার টিলা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জামসেদ আলী তালুকদার জানান, নিহত অজয় দাশ দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি হাত ও পায়ের হাড়ও ভাঙা ছিল। যেখান থেকে লাশ পাওয়া গেছে সে জঙলে দিনের বেলায়ও মানুষ যেতে ভয় পাবে। তাই বুঝা যাচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যা। লাশের অবস্থা খুবই নাজুক ছিল।

Logo-orginal